ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

‘ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাদ দেওয়া হয়েছে’

প্রকাশিত : ০৩:২৫ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৮ শনিবার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রক্রিয়াকে বাতিল করেছে। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, কেয়ারটেকার সরকার বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য পরীক্ষিত একটা প্রক্রিয়া ছিল। অথচ এটি ছিল আওয়ামী লীগের দাবি। আর ফর্মুলা ছিল জামায়াতের। এই দাবিতে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ, জামায়াত, জাতীয় পার্টি। এ জন্য তারা ১৭৩ দিন হরতালও করেছে। এ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দুই বার ক্ষমাতায় এসেছে, বিএনপি একবার নির্বাচিত হয়েছে। অথচ ক্ষমতা দখল করতে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আদালতের মাধ্যমে কেয়ারটেকার পদ্ধতি বাতিল করেছে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক, সুশীল সমাজ, বিদেশি বন্ধু সবাই বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। আর সেটি করতে হলে সবার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে, বিএনপি ও ২০ দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে হবে। এটি না হলে কখনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না।

বিএনপি এ নেতা আরও বলেন, দিন-তারিখ ঠিক করে, হুইসেল দিয়ে আন্দোলন হয় না। আপনারা কোটাবিরোধী আন্দোলন দেখেছেন, কীভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথ কাঁপিয়ে তুলেছে। অথচ আন্দোলন শুরুর আগের দিনও কেউ জানতো না এর কথা। এমনকি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছেও এতো বড় আন্দোলনের খবর ছিল না। বাংলাদেশের ছেলেরাই আন্দোলন করেছে। সময়মতো দেশের জনগণও এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করবে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এসব সিটিতে ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি প্রার্থী, এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের হামলা মামলা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন খুলনা ও গাজীপুরের মতো নতুন কোনো মডেল সাজিয়ে তিন সিটির ফল নিজেদের পক্ষে নিতে চায়। আর সেজন্য ইসি ও পুলিশের সহযোগিতায় বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি ও নির্যাতন করছে।


এসএইচ/