ছেলে নাকি মেয়ে কার বন্ধুত্ব শক্তিশালী, জেনে নিন
প্রকাশিত : ০৫:১১ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৫:১২ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৮ শনিবার
তরুণ-তরুণীদের মধ্যে কার বন্ধুত্ব সবচেয় শক্তিশালী এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র, গল্প উপন্যাসে দেখানো হয়, মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বন্ধু তৈরিতে এবং দলবদ্ধ বন্ধুত্ব ধরে রাখতে অনেক বেশি পারঙ্গম। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, উল্টোটাই বরঞ্চ সত্যি। ছেলেদের বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠতা মেয়েদের তুলনায় বেশি এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
গবেষকরা বলেন, ছোঁয়াচে রোগ এবং টীকা কর্মসূচির পরিকল্পনা করতে সামাজিক জীবনে কিশোর-কিশোরীদের মেলামেশার ধরন সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। সে জন্যই লন্ডনের স্কুল অব হাইজিন এবং ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এই গবেষণাটি চালায়।
ব্রিটেনের চারটি স্কুলের নানা আর্থ-সামাজিক শ্রেণি থেকে আসা ৭ম শ্রেণির ৪৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের প্রত্যেককে সমবয়সী ছয় জনের নাম করতে বলা হয়, যাদের সঙ্গে সে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে অধিকাংশ সময় কাটিয়েছে।
গবেষণা দলের ড. অ্যাডাম কুচারস্কি বলেন, ‘প্রচলিত ধারণার বিপরীতে তারা দেখতে পেয়েছেন, মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বন্ধুদের জোট তৈরিতে বেশি পারঙ্গম এবং তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অপেক্ষাকৃত বেশি দিন অব্যাহত থাকছে।’
ড. কুচরস্কি বলেন, ‘ফ্লু বা হামের মতো ছোঁয়াচে রোগ ছড়ানোর বিষয়ে পরিষ্কার ধারণার জন্য এই সামাজিক মেলামেশার প্যাটার্ন বোঝাটা জরুরি।’
গবেষক দলের আরেক সদস্য ড. ক্লেয়ার ওয়েনহ্যাম বলেন, ‘রোগের বিস্তার সম্পর্কে জানতে বাচ্চাদের মেলামেশার আচরণ বোঝাটা অত্যন্ত প্রয়োজন।’
ক্লেয়ার বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় সংক্ষিপ্ত সময়ে, যেমন সারাদিন, মেলামেশার প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা হয়েছে। এবার দীর্ঘ সময়ের মেলামেশার ধরন দেখা হলো।’
তরুণ-তরুণী এবং তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক লেখালেখি করেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক এবং মনোবিজ্ঞানী ড. টেরি অ্যাপ্টার।
এ বিষয়ে ড. টেরি বলেন, ‘ছেলেদের মধ্যে বন্ধুত্ব অনেক বেশি স্থিতিশীল, অন্যদিকে মেয়েদের সম্পর্কে অস্থিরতা বেশি। মেয়েদের মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করে যে, হয়তো তাদের প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক টিকবে না, আবার অনেক সময় সামাজিক চাপের কারণে তারা অনেকের সাথে জোর করে বন্ধুত্ব তৈরির চেষ্টা করে...ছেলেদের মধ্যে এসব প্রবণতা কম।’
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসি