তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না রাহুলকে
প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১২:০৮ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮ রবিবার
টুইটারে রাহুল গান্ধীর মতো সাড়া পাচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সভাপতির মোকাবিলা করতে তাই স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গয়ালদের মতো মন্ত্রীদেরও মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তবু থামানো যাচ্ছে না রাহুলকে।
টুইটারে ‘ফলোয়ার’-এর নিরিখে মোদির ধারে কাছে নেই রাহুল। কিন্তু ‘লাইক’ আর ‘রিটুইট’-এর হিসেবে মোদিকে টেক্কা দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতির প্রতিটি টুইটের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে বিজেপি। অলওয়ারের ঘটনা নিয়ে রাহুলের টুইট হোক বা কংগ্রেসের কোনও এক মুখপাত্রের ‘কুকথা’- কংগ্রেস সভাপতিতে বিঁধতে সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপাচ্ছেন স্মৃতি, পীযূষদের মতো মন্ত্রীরা। অরুণ জেটলিও ঘরে বসে নিরন্তর ব্লগ লিখে চলেছেন। রবিশঙ্কর প্রসাদ মন্ত্রক থেকে বিজেপি দফতরে ছুটে ছুটে সাংবাদিক বৈঠক করছেন। তবু ঠেকানো যাচ্ছে না রাহুলকে।
রাফাল নিয়ে রাহুলের অভিযোগের জবাব দিতে বিজেপি সব অস্ত্র প্রয়োগ করে ফেলে আপাতত ক্ষান্ত হয়েছে। গত শুক্রবার রাহুল যখন রাফাল নিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করলেন, বিজেপির মন্ত্রীরা কিন্তু আগের মতো ঝাঁঝালো আক্রমণ শানাতে পারেননি। বিজেপির কিছু নেতাই ঘরোয়া মহলে বলছেন, ‘এ নিছক রাজনৈতিক আক্রমণ নয়। হাতে নথি নিয়ে অভিযোগ তুলছেন রাহুল।’
কংগ্রেস সভাপতি গতকাল শনিবার ফের রাফাল নিয়ে টুইট করেছেন, ‘ভারত যে ৩৬টি (#রাফাল-দুর্নীতি) জেট কিনছে, সেগুলোর রক্ষণাবক্ষণের জন্য মিস্টার ৫৬-র বন্ধুর যৌথ উদ্যোগকে আগামী ৫০ বছরে ১ লাখ কোটি টাকা দিতে হবে ভারতীয় করদাতাদের। প্রতিরক্ষামন্ত্রী যথারীতি সাংবাদিক বৈঠক করে অস্বীকার করবেন। কিন্তু সত্য আছে এই প্রেজেন্টেশনে।’ নীচে অনিল অম্বানীর সংস্থার ‘প্রেজেন্টেশন’টি পোস্ট করেছেন রাহুল। যেখানে ১ লাখ কোটি টাকায় ৫০ বছর বিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দাবি করা হয়েছে। রাহুল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সম্ভাব্য সাংবাদিক বৈঠক লেখার সময়ও ইংরেজিতে পুরো ‘প্রেস কনফারেন্স’ না লিখে, প্রেস-এর পরে বড় হরফে লিখেছেন ‘কন’। বোঝাতে চেয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিথ্যা বলে ‘বোকা’ বানাতে চাইবেন।
কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, রাহুল গান্ধীর টুইটারের ধারে দিশাহীন হয়ে পড়ছেন বিজেপি নেতারা। হয় তারা চুপ থাকছেন, নয়তো রাহুল ‘শকুনের রাজনীতি করছেন’-এর মতো কটু শব্দ ব্যবহার করছেন। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকেও লেখা হচ্ছে অশ্রাব্য মন্তব্য। রাহুলের ওই টুইটে ঘণ্টা চারেকের মধ্যে যে ৯৯৪টি মন্তব্য এসেছে তাতে এমন মন্তব্য প্রচুর। লক্ষ্যণীয়ভাবে ওই সময়ের মধ্যেই রাহুলের লেখাটি ‘রিটুইট’ হয়েছে ৩ হাজার ২০০ বারের বেশি, আর ‘লাইক’ করেছেন ৬ হাজার ৭০০ জনের বেশি। কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, বিজেপির নেতা-মন্ত্রী-সমর্থকেরা যা খুশি বলুন, রাহুলের প্রশ্নগুলোর উত্তর না দিচ্ছেন মোদি, না তার সেনাপতি বা সেনারা।
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//