ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বর্ষায় সুস্থ থাকার বিশেষ ডায়েট প্ল্যান

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮ রবিবার

বর্ষা সঙ্গে নিয়ে আসে কিছু রোগবালাই। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াই এর কারণ। এই সময়ে সুস্থ থাকতে চাই পারফেক্ট ডায়েট প্ল্যান।

*ফাইবার যুক্ত ওট্‌স, বার্লি, ব্রাউন রাইস রাখুন রোজকার ডায়েটে। তাতে পেটের সমস্যা কম দেখা দেবে। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অল্প রসুন ব্যবহার করুন রান্নায়। চায়ে অল্প আদা দিয়ে খান। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য টক দই, ইয়োগার্ট নিয়মিত খান। রোজকার খাওয়ার পাতে উচ্ছেসেদ্ধ, নিমপাতা, মেথি খান।

*সবারই কমবেশি অ্যালার্জি, স্কিন ইনফেকশন, হজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা হয় বর্ষায়। আবহাওয়ায় আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে হজমশক্তি কমে যায়, তাই বর্ষার সময় অতিরিক্ত ভাজাভুজি, তেলেভাজা, স্ট্রিট ফুড ও রাস্তার যে কোনও খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন। মুড়িতে কাটা শসা, পেঁয়াজ, রোল, চাউমিনে ব্যবহৃত স্যালাড এ সময় না খাওয়াই ভাল। এর থেকে ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, আমাশা, বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

*রাস্তায় বেরোলে অবশ্যই বাড়ির পরিশুদ্ধ পানীয় জল সঙ্গে রাখুন। যেখানে সেখানে অপরিশুদ্ধ জল খাবেন না। প্রয়োজনে ভাল কোম্পানির প্যাকেজ্‌ড জল কিনে পান করুন। বাইরে থেকে ফিরে উষ্ণ গরমজলে গোসল করে নিন। ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকলে গা ধুয়ে নিন। এতে ইনফেকশনের হাত থেকে খানিক রক্ষা পাওয়া যাবে।

*খাবার খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। হাত ধোয়ার একান্ত উপায় না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। রাস্তার ধারের কাটা ফল, ফলের রস, আখের রস এড়িয়ে চলুন। ডায়েরিয়া বা ডিসেন্ট্রি হলে বারেবারে ওআরএস খান। সঙ্গে বাড়ির তৈরি হালকা খাবার খাওয়া যেতে পারে। ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

*এই সময় চোখের ইনফেকশনও দেখা যায়। বিশেষত কনজাংটিভাইটিস। চোখ চুলকালে, জল পড়লে বা চোখের কোনায় পিচুটি হলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যখন তখন চোখ কচলানোর অভ্যাস বদলাতে হবে। এতে ইনফেকশন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

*বর্ষাকালে প্রতিদিন মৌসুমী ফল খান। আপেল, মুসুম্বি, আনারস, বেদানা, পেয়ারা খেতে পারেন। মৌসুম শেষের আমও খাওয়া যেতে পারে, তবে পরিমিত পরিমাণে। তা না হলে ওজন বৃদ্ধি, ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও সবজি খান, এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

*কাঁচা নুন, রান্নায় চড়া নুন, অতিরিক্ত নোনতা খাবার- যেমন, বাদাম, চিপ্‌স, ডালমুট এড়িয়ে চলুন। এতে শরীরে ওয়াটার রিটেনশন থেকে ব্লোটিংয়ের মতো সমস্যা কম হবে।

*সারা বছর যাঁদের স্কিনে ব্রণ, র‌্যাশের সমস্যা থাকে, তাঁরা বর্ষায় তেল-মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। মাছ ও মাংস খেলে হালকা মশলায় রেঁধে খান। হার্বাল টি, লিকার চায়ে অল্প মধু, গোলমরিচ, পুদিনা বা তুলসীপাতা দিয়ে খান। অসময়ের ফুলকপি, বরবটি, রাজমা, ছোলার ডাল বর্ষায় কম খান। কাঁচা সবজির স্যালাডের বদলে অল্প জলে ভাপিয়ে নিয়ে সবজি খান। এতে ব্যাকটেরিয়াল ও ভাইরাল ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। রান্নায় শাকসবজি ব্যবহার করার আগে কম করে আধঘণ্টা নুনজলে ভিজিয়ে রেখে তারপর রান্না করুন।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

/ এআর /