‘জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত করার চেষ্টা করছি’
জবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮ রবিবার
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে মাস্টার প্ল্যান করেছি যেখানে সবকিছু থাকবে। আমাদের ক্যাম্পাসের জন্য ভূমিগ্রহণ চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তর, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন শিরোনমের জন্য দুই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। প্রকল্পটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে দিয়েছি। মঞ্জুরি কমিশন প্রথমধাপের কাজ শেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে যাবে। কেরানীগঞ্জের ক্যাম্পাস নিয়ে জানতে গেলে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে এইসব তথ্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) উপাচার্য ড.মীজানুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, প্রথম প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রথমে দেওয়াল দিয়ে বাউন্ডারি করা হবে। তারপরে লেকের কাজ করে স্থাপনার কাজ করব। এই কাজ দুই বছরের মধ্যে করা হবে। তারপরে দ্বিতীয় প্রকল্পের মাধ্যমে ভবনসহ অন্যান্য কাজ করা হবে। তবে আমি দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করছি।
২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আবাসনের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ছিল। ফলে শিক্ষার্থীরা আবাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিল। যার পরিপ্রক্ষিতে কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নে স্থানান্তর করা হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এখন জমি অধিগ্রহণ প্রস্তুতি চলছে।
জমি অধিগ্রহণের জন্য মূল্য নির্ধারণসহ প্রাথমিক কাজ শেষ। প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসে না হলেও আগামী মাসে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
তারপরে জেলা প্রশাসন ভূমি মালিকদের টাকা দেবে ও জায়গায় সীমানা নির্ধারণ করে দেবে। এসব কাজ শেষ হলে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এই কাজ শেষ হতে অন্তত সাত বছর লাগবে।
এসএইচ/