ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

মাশরাফির যে সিদ্ধান্ত বদলে দিল বাংলাদেশ টিমকে

প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮ রবিবার

অধিনায়ক মাশরাফির বিন মুর্তজার একটি সিদ্ধান্তই বদলে দিয়েছে গতকারের ম্যাচের চিত্র। যে কারণে ৯ বছর পর বিদেশের মাটিতে সিরিজ জিলতো বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সেন্ট কিটস চোখজুড়ানো, সুন্দর এই দ্বীপে কাল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সবই উপভোগ্য লাগল।

সতীর্থেরা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চলে গেছেন। সবার শেষে ড্রেসিংরুম থেকে বের হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা তামিম ইকবাল ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন, সিরিজ সেরা হয়েছেন—সব পুরস্কার ‘খান সাহেব’ নিয়ে গেলেন, তা নিয়ে অধিনায়কের কী রসিকতা! পুরস্কার একটা মাশরাফিকেও দেওয়া উচিত।

দ্বিতীয় ম্যাচটা হারের পর গায়ানা থেকে যখন উড়ানে উঠবে বাংলাদেশ, তার কিছুক্ষণ আগে সতীর্থদের ডেকে মাশরাফি বুঝিয়েছিলেন, ‘যদি প্রথম ম্যাচটা হেরে যেতাম ১-১ থাকত না, থাকত ২-০। আমাদের এখনো সুযোগ আছে, চলো সেন্ট কিটসে সুযোগটা কাজে লাগাই।’

মাশরাফির এই যে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা, এ জন্যই শুধু নয়, এই ম্যাচে মাশরাফিকে একটা পুরস্কার দেওয়া উচিত ম্যাচ বদলে দেওয়া এক আইডিয়ার জন্যও। তামিম যখন সেঞ্চুরি করলেন, দেখা গেল ড্রেসিংরুমের দোতলা থেকে নিচে এসে বাঁহাতি ওপেনারের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। পায়ে তাঁর প্যাড। সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন তখনো নামেননি। মাশরাফি তৈরি হয়ে বসে আছেন, ঘটনা কী?

কিছুক্ষণ পরে পরিষ্কার হলো বিষয়টা, ছয়ে নেমে পড়লেন অধিনায়ক। ৪ চার, ১ ছক্কায় ২৫ বলে তাঁর ৩৬ রানের ইনিংস সহায়তা করল বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দিতে। মাশরাফির এ ঝড়টা যে ম্যাচের রং বদলে দিতে সহায়তা করেছে, বললে ভুল হবে?

ছয়ে নামার ভাবনা কীভাবে এল, সে কথা মাশরাফি খোলাসা করলেন ম্যাচের পর,‌ ‌‘৩৫ ওভারে পর থেকে কোচ চাইছিলেন রানরেট বাড়াতে। কোচকে বললাম, আমি যাই? তখন ব্যাটসম্যানদের সোজা শট খেলা কঠিন। চিন্তা করলাম, ঝুঁকিটা আমিই নিই। কোচও আমাকে সমর্থন করলেন। বললেন, কেন দ্বিধায় ভুগছ? যাও। মাশরাফি গেলেন। পেটালেন। বাকিটা ইতিহাস!
টিআর/