রোহিঙ্গাদের ভাগ্য কি আসামের বাঙ্গালিদেরও?
প্রকাশিত : ০৯:৩৮ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৮ সোমবার
আসামের নাগরিক গণনার চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আজ। আর এ তালিকা থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন আসামের বাঙ্গালিরা। প্রাথমিক তালিকা থেকে ৭০ শতাংশ বাঙ্গালি বাদ পড়ার পরই রাজ্যটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। এরপর শুরু হয় চূড়ান্ত গণনা। আর চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে যারা বাদ পড়বেন, তাদের দেশ ছাড়তে হবে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
তাই রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী বাঙালি নাগরিকদের উৎকণ্ঠা সবচেয়ে বেশি। ভিটেমাটি তো রয়েছেই, পাশাপাশি দেশ হারানোর ভয় তাদের জেঁকে ধরেছে। এনডিটিভি জানায়, নাগরিক তালিকা প্রকাশকে সামনে রেখে অভূতপূর্ব নিরাপত্তাবলয় তৈরি হয়েছে আসামে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ২২ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এনআরসি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি এনআরসি সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কিনা, তা জানা যাবে। পাশাপাশি অনলাইন ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে।
অবশ্য নাম না থাকলেও কারও বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেয়া যাবে না- আসাম সরকারকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। আসামের অর্থমন্ত্রী হীমন্ত বিশ্বশর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘অযথা উদ্বেগের কিছু নেই। কারও বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে না সরকার।’ তালিকায় নাম না থাকলে আগামী ৭ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
এনআরসিতে নাম তালিকাভুক্ত করতে আসামের ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ আবেদন করেন। প্রথম দফায় গত ৩১ ডিসেম্বর মাত্র ১ কোটি ৯০ লাখ নাম ঠাঁই পায় এনআরসিতে। মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে শুরু করে কয়েক পুরুষ ধরে আসামে বসবাসকারী বহু বাঙালির নাম বাদ যায় এ তালিকায়। বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকায়ই নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থতার হার বেশি।
এদিকে তালিকা থেকে বেশি বাদ পড়তে যাচ্ছে আসামের মুসলিম বাঙ্গালিরা। তালিকা থেকে বাদ পড়ায় রোহিঙ্গাদের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হবে কি না, এ বিষয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আসামের বাঙ্গালি শিবিরে।
এমজে/