ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

সিলেটে সংঘর্ষ, দুই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত 

প্রকাশিত : ০৪:৪৯ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৪:৫৪ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮ সোমবার

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজন আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের গুলিতে তিনজন আহত হয়েছেন। আরেক কেন্দ্রে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হয়েছেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট।   

বিক্ষিপ্ত গোলযোগের কারণে আরও কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন বিঘ্নিত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। 

সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরি জামান জানান, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান বেলা দেড়টার দিকে কুমারপাড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।

“এ সময় তার গাড়িতে ঢিল পড়লে গ্লাস ভেঙে মতিউর আহত হন। একটি ঢিল তার নাকে লাগে। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”

আহত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান বলেন, “কুমারপাড়া পয়েন্টে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে আমি মাঝখানে পড়ে যাই। একটি ঢিল আমার গাড়ির কাচে লেগে ভেঙে যায়। কাচের টুকরো এসে আমার গায়ে লেগেছে। একটু কেটে গেছে। আমি আবার মাঠে ফিরেছি।”

এর আগে বেলা ১টার দিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ঠেলাগাড়ি প্রতীকের এসএম শওকত আমীন তৌহিদ ও ঘুড়ি প্রতীকের দিনার খান হাসুর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন

সেখানে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, “তারা ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়লে তিনজন আহত হন।”

আহতদের কারো নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি আতাউল গনি ওসমানী।

তিনি বলেন, “তারা দল বেঁধে এখানে এসে তিনটি কক্ষে ঢুকে পড়ে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের দিকে অস্ত্র তাক করে। পরে পুলিশ গুলি করে।”

বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, “প্রায় এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ ছিল। আমাকেও বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে আটকে দিয়েছিল। ব্যালট পেপার বা কোনোকিছু নিতে পারে নাই।”

এদিকে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়ে বেলা ২টার দিকে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ গাজী সৈয়দ বোরহান উদ্দিন মাদ্রাসা (১১৬ নম্বর কেন্দ্র) এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৩৪ নম্বর) কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান জানান, বোরহান উদ্দিন মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ২ হাজার ২২১ জন। আর হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ২ হাজার ৫৬৬ জন।

এর আগে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মিরাবাজারের মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রে প্রায় ৪৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।

বেলা ১১টার দিকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল এবং সাজেদ আহমেদ চৌধুরী বাপনের সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়।

ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে উজ্জ্বল বলেন, “রেডিও এবং ঘুড়ি- দুই প্রার্থীর লোকজন সকাল থেকে ব্যালট পেপারে বাক্সে সিল মেরে বাক্সে ভরেছে।”

ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কাজী আশিকুর রহমানবলেন, বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভোটগ্রহণ আবারও শুরু হয়।

মিরাবাজারের মডেল স্কুল কেন্দ্রে গোলযোগ চলার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দীন আহম্মদ আহমেদ কামরানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এসি