শিক্ষা কারিকুলামে দূণীতি প্রতিরোধ বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত বলে মনে করেন দুদক চেয়ারম্যান
প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৬ বুধবার
বুদ্ধিবৃত্তিক দূর্নীতির কারনেই জঙ্গীবাদ বাড়ছে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টির সাথে জড়িতদের ব্যাপরেও স্বচ্ছতা প্রয়োজন বলে মত তাদের। অন্যদিকে প্রাইমারী পর্যায় থেকেই শিক্ষা কারিকুলামে দূণীতি প্রতিরোধ বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত বলে মনে করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। দুদক কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি একথা বলেন।
২০১৬ থেকে ২১ সাল পর্যন্ত দূর্নীতি দমন কমিশনের কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার খসড়া প্রকাশ করে দুদক। এ উপলক্ষে পাবলিক ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আয়োজন করা হয় মতবিনিময় সভা।
শিক্ষকরা জানান, আর্থিক ও পদ্ধতিগত দূর্ণীতির কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া যাচ্ছেনা। পাশাপাশি নতুন মাত্রা হিসেবে যুক্ত হয়েছে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি, যা তরান্বিত করছে জঙ্গিবাদকে।
শিক্ষকরা মনে করেন দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা আর সরকারের আন্তরিকতার পাশাপাশি প্রয়োজন জবাবদিহীতা। একইসাথে শিক্ষাকার্যক্রমের পরিবর্তন দরকার বলেও মত তাদের।
এসময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দূর্নীতি দমনের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা যার শুরুটা হতে হবে একজন শিক্ষার্থীর প্রাথমিক পর্যায় থেকেই। জঙ্গী অর্থায়নসহ যেকোন আর্থিক দুর্নীতির দিকে দুদকের নজর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষকদের পরামর্শগুলো মাথায় রেখে সংশোধিত কর্মপরিকল্পনা পুনরায় প্রকাশ করা হবে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান ।