ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

জিম্বাবুয়ের নির্বাচন

জয় দাবি বিরোধীদলের প্রধানের, নিশ্চুপ নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৮ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার

জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর দেশটির স্বাধীনতাকামী নেতা রবার্ট মুগাবে বিহীন নির্বাচনে ভোটাররা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রয়োগ করেছেন। এখন চলছে ভোট গণনা। এরইমধ্যে নিজেকে বিজয়ী দাবি করেছেন বিরোধী দলের প্রধান নেলসন চ্যামিশা।

গত বছর রবার্ট মুগাবেকে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর এই প্রথম দেশটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৫৬ লাখ ভোটারের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীগুলোও।

নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সী বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাওয়া ও ৪০ বছর বয়সী চ্যামিশার মধ্যে। জানু পিএফপার্টির বর্তমান নেতা নানগাওয়াকেই সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাবা হয়েছিল। তবে নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে রবার্ট মুগাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে বলেন, তিনি নানগাওয়াকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। একইসঙ্গে চ্যামিশার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি।

ইতোমধ্যে অধিকাংশ নির্বাচনী কেন্দ্রের ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে চ্যামিশা সকাল ৫টায় এক টুইট বার্তায় বলেন, তার দল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জ নির্বাচনে যথেষ্ট ভালো করেছে। আমরা অনেক এগিয় রয়েছি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ১০ হাজার ৯৮৫ আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে অন্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের ফলাফল জানলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কিছু বলতে চাচ্ছে না। তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীসহ সামাজিক আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, ফলাফলে নানগাওয়া হেরে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। তাই ফলাফল ঘোষণায় দেরি হচ্ছে।

জানা গেছে, কোনো প্রার্থী-ই যদি মোট ভোটের অর্ধেকের চেয়ে বেশি ভোট না পায়, তাহলে আগামী ৫ সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে ফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০০৮ সালেও দেশটিতে দ্বিতীয়বার নির্বাচনের আগে সহিংসতায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। অন্যদিকে ফলাফল যদি খুব কাছাকাছি হয়, তাহলে দুই দলে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে পারবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান মুগাবে। স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে ক্ষমতায় আনতে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নামে নানগাওয়া ও সেনাবাহিনী।

সূত্র: ডন
এমজে/