ইংল্যান্ডে গড় আয়ু বেশি ধনীদের!
প্রকাশিত : ১০:৪৪ এএম, ১ আগস্ট ২০১৮ বুধবার
গোটা ব্রিটেনেই বেশ কয়েক বছর ধরে ধনী-গরীবের আয়ের বৈষম্য বাড়ছে। গড় আয়ুর বৈষম্যও বাড়ছে সমানতালে। আর সেটি বৈষম্য সবচেয়ে বেশি ইংল্যান্ডে। সেখানে গড় আয়ু বেশি যাদের আয় বেশি। যাদের আয় কম তারা মারা যাচ্ছেন আগেভাগেই।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্টকটনে নগরীতে গরীবদের আয়ু তেমন বাড়ছে না। তাদের বেশির ভাগই মারা যাচ্ছে অল্প বয়সে।
ওই নগরীর বাসিন্দা রব হিল। একদিকে তিনি সারা জীবন সিগারেট খেয়েছেন, অন্যদিকে দারিদ্র্যের কারণে সব সময়ই খেয়েছেন সস্তা ও নিম্নমানের খাবার। সব মিলিয়ে হিলের শরীরে বাসা বেঁধেছে রোগ-বালাই। তাঁর আছে এম্ফিসেমা, লিম্ফিডেমা ও টাইপ-২ ধরনের ডায়াবেটিস।
স্ত্রী ও আট সন্তানকে রেখে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তিনি এখন নিজের মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আরও দুই বছর আগেই চিকিৎসকরা তাঁকে মাস ছয়েক সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই অর্থে এখন তিনি বেঁচে আছেন বাড়তি আয়ুর বদৌলতে। স্টকটনে গরিবের চেয়ে ধনীর আয়ু অন্তত ১৮ বছর বেশি। জাতীয় হিসাবে, ইংল্যান্ডের ধনী পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুরা অপেক্ষাকৃত গরিব পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুদের চেয়ে গড়ে সাড়ে আট বছর বেশি বাঁচে।
স্টকটন শহরের চিকিৎসক ডেভিড হজসন বলছেন, এ নগরীতে পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু মোটে ৬৪ বছর। এটি মূলত আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার সমান।
শহরটিতে ধনী-গরিবের আয়ুর বৈষম্য নিয়ে পাঁচ বছর ধরে একটি গবেষণা করেছেন অধ্যাপক ক্লেয়ার বামব্রা। এ গবেষণা বলছে, আয়ুর ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকলেও মূল কারণ আয়বৈষম্য।
সেন্ট বেড’স ক্যাথলিক একাডেমির প্রধান বার্নি রিজি-এলান বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ও শ্রেণির বিভেদ দিয়ে মানুষের আয়ু নিরূপণ ঠিক নয়। এই বৈষম্য অবশ্যই কমানো সম্ভব এবং এটি কমবেও।
সূত্র : বিবিসি।
/ এআর /