ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী ল্যাপটপ মেলা

ল্যাপটপ ট্যাবের চাহিদা বাড়বে বলে মত জব্বারের

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ২ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সামনের দিনগুলোতে ল্যাপটপ, ট্যাব বা ডেস্কটপের মতো প্রযুক্তি পণ্যের চাহিদা বাড়বে বলে মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, দেশে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে যাদেরই আগামী দিনে কম্পিউটার ট্যাব এসব পণ্যের প্রয়োজন হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘এফোরটেক সামার ল্যাপটপ ফেয়ার ২০১৮’ এর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলে মন্ত্রী জব্বার। এসময় তিনি আরও বলেন,  “এক সময় বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকলেও এখন অনেক এগিয়ে। কারণ প্রযুক্তি নামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম জড়িয়ে আছে। তার কারণেই আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং দেশে ৮.৫ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী”।

মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে এই প্রযুক্তিবীদ আরো বলেন, “ল্যাপটপ মেলা শুধু কেনাবেচার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি এক্সপিরিয়েন্স জোন হিসাবেও ব্যবহার হয়। এই মেলার কারণে যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে”।

দেশের প্রযুক্তির প্রসারে এমন মেলার গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ল্যাপটপের বর্তমান চাহিদা বিবেচনা করলে এ দেশের বাজার এখন ডিভাইস প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর কাছে লোভনীয়। ইতিমধ্যে অনেক বিদেশি কোম্পানি দেশে ল্যাপটপ সংযোজনের চিন্তাভাবনা করছে। আর দেশের দুটি কোম্পানি ল্যাপটপ প্রস্তুতও করছে”।

মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এসার বাংলাদেশের চ্যানেল সেলস কানসালটেন্ট সাকিব হাসান, আসুস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. আল ফুয়াদ, ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান, এইচপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ইমরুল হোসেইন ভূঁইয়া, লেনোভো বাংলাদেশের ম্যানেজার (সেলস)  রাশেদ কবির, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল ফাত্তাহ ও এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান।

এদিকে বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করা হলেও সকাল ১০টা থেকেই শুরু হয় মেলার কার্যক্রম।  এক্সপো মেকারের আয়োজনে এটি দেশের ২০তম ল্যাপটপ প্রদর্শনী। ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রদর্শনী চলবে শনিবার পর্যন্ত।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় কিংবা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে। প্রতিবন্ধীরাও বিনামূল্যে প্রবেশের এই সুযোগ পাচ্ছেন।

//এস এইচ এস//