জ্যোর্তিপদার্থবিজ্ঞানি মেঘনাদ সাহার স্মৃতি রক্ষায় নেই কোনো উদ্যোগ
প্রকাশিত : ০৮:৫৩ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৫৬ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৬ শুক্রবার
থার্মাল আয়নাইজেসন তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা মেঘনাদ সাহা, বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন চার বার। জন্মস্থান গাজীপুরে বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার স্মৃতি রক্ষায় নেই কোনো উদ্যোগ।
মেঘনাদ সাহা, জ্যোর্তিপদার্থবিজ্ঞানি। সরাসরি পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও থার্মাল আয়নাইজেসন তত্ত্বের আবিস্কার করে সাড়া ফেলেছিলেন বিজ্ঞানের জগতে। ‘সাহা আয়োনাইজেসন সমীকরণ’ নক্ষত্রের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মাবলীর ব্যাখ্যায় ব্যবহৃত হয়। জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানের যত গবেষণা তার প্রায় সবগুলোরই ভিত্তি মেঘনাদ সাহার তত্ত্ব।
১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকা জেলার শ্যাওরাতলী গ্রামের মুদিদোকানী জগন্নাথ সাহা ও ভুবনেশ্বরী দেবীর সন্তান মেঘনাদ সাহা। প্রবেশিকা পরীক্ষায় পূর্ববঙ্গে প্রথম ও ১৯১৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত শাস্ত্রে দ্বিতীয় হন তিনি। বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর ছাত্র ছিলেন মেঘনাদ সাহা।
মেঘনাদ সাহার কীর্তি বিশ্ববাসীকে আলোর সন্ধান দিলেও জন্মস্থানে নেই কোনো স্বীকৃতি। পাঠ্যপুস্তকেও অবহেলিত তিনি।
মেঘনাদ সাহার অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি তার স্মৃতি রক্ষার আহ্বান বিশিষ্টজনদের।