গুজব ছড়ানোর তথ্য স্বীকার করেছেন নওশাবা
প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ৫ আগস্ট ২০১৮ রবিবার
ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আটক অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ এবার সেই গুজব ছড়ানোর তথ্য স্বীকার করেছেন। এক স্কুলছাত্রের কাছ থেকে ফোনে তথ্য পেয়ে শ্যুটিংস্পট থেকে ফেসবুক লাইভে গিয়ে তিনি এ গুজব ছড়ান বলে নতুন এক ভিডিওতে দাবি করেছেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে আসা এই অভিনেত্রীকে রাতে উত্তরা থেকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
রুদ্র নামে এক স্কুল ছাত্র মোবাইলফোনের মাধ্যমে নওশাবাকে জানায় জিগাতলায় নিহতের খবর। এরপরই উত্তরার একটি শ্যুটিংস্পট থেকে ফেসবুক লাইভে যান তিনি। মোবাইলফোনে শোনা কথাগুলোই ফেসবুক লাইভে বলার পর সবাইকে রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানান নওশাবা। মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর বিষয়টি র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ।
রাতে র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, জিগাতলার ঘটনা নিয়ে নওশাবা ফেসবুক লাইভে গেলেও ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না। ছিলেন উত্তরার একটি শুটিং স্পটে। সেখান থেকেই মোবাইলফোনে আসা খবরে তিনি ফেসবুক লাইভে যান। তিনি ফোনে যা শুনেছেন তাই ফেসবুক লাইভে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তার সেই গুজব মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যে কারণে দ্রুত গুজব আরও ছড়িয়ে পড়ে।
জিজ্ঞাসাবাদে নওশাবা র্যাবকে জানিয়েছে, রুদ্র নামে একটা ছেলের সঙ্গে গত ৩ আগস্ট তার পরিচয় হয় শাহবাগে। তারপর থেকে রুদ্রের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয় এবং চলমান আন্দোলন সম্পর্কে আপডেট জানতে পারে। সেই সূত্রে রুদ্রের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার নওশাবা ফেসবুক লাইভে যায়। প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই বলাটা শুধু গুজব নয়, অপরাধ। তথ্যদাতা সেই রুদ্র একটি স্কুলে পড়ে বলে জানিয়েছেন নওশাবা।
মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, তাকে (নওশাবা) আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নওশাবা ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়িয়ে যে অপরাধ করেছে সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এসএ/