ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রাজধানীর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার ঘোষণা  

প্রকাশিত : ০৬:০১ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

সরকারের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হয়ে রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে রাজধানীর ৪২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।   

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত ‘নিরাপদ সড়ক ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আজ এক মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে।

শিক্ষার্থীদের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘সোনামনিদের নিরাপদে বেড়ে উঠা আমরা দেখতে চাই। তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও, তোমাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে আমাদের যতটুক করণীয় সেটা করবো।’

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ভিকারুন নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ঐশী দাস বলেন, ‘সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন, আমরা রাজপথে থাকবো না ক্লাসে ফিরে যেতে চাই।’ ঐশী প্রত্যেক স্কুলের সামনে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করার জন্য মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান।’ আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দাবি ছিল নিরাপদ সড়ক। সরকার আমাদের সেই দাবির যুক্তি বিবেচনায় তা মেনে নিয়েছে। সেজন্য আমরা সবাই ক্লাসে ফিরে যাবো।’

আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কিসের জন্য? আমরা একটি নিরাপদ সড়ক চাই। কিন্তু সেই দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে দেখেছি পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না। তারা এটা না করলে কীভাবে নিরাপদ সড়ক হবে?’

মেয়র বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পরাজিত শক্তি তাদের গুন্ডা বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনকে সহিংস করছে। তারা ভুয়া আইডিকার্ড, ইউনিফর্ম পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ তাদের সমুচিত জবাব দেবে।’

সাঈদ খোকন বলেন, ‘ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন ছিল, আছে। কিন্তু গত দু’তিন দিন ধরে সেই অহিংস আন্দোলনের রূপ পরিবর্তন হয়েছে। আমরা দেখেছি ছোট্ট সোনামনিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পরাজিত শক্তি নিপুণভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল সেই চক্রান্তকারীদের প্রজন্ম ছাত্রদের ইউনিফর্ম পরে, আইডিকার্ড ঝুলিয়ে রাজপথে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এই দেশে মুক্ত অধিকার প্রকাশের সব সুযোগ সরকার দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার জন্য সমস্ত সুবিধা দেয়া হয়েছে। সেই সুযোগ ব্যবহার করে যদি ব্যাগের মধ্যে পাথর, অস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয় বা হামলা করা হয় তাহলে বাংলার জনগণ বসে থাকবে না।
এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

এসি