রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার আহ্বান মানবাধিকার সংগঠনের
প্রকাশিত : ০৭:৩২ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৮ সোমবার
ভারী বর্ষণ এবং পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। কক্সবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ে ও পাহাড়ের ঢালে নির্মিত অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সবথেকে ঝুঁকিতে আছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থাটি।
প্রায় ৬৮ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, মৌসুমী বন্যার কারণে পাহাড় ধস আর বন্যার ঝুঁকিতে আছে কক্সবাজারে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গারা। এছাড়াও খুবই ঘিঞ্জি আর অল্প জায়গায় অনেককে রাখার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সংক্রামক ব্যাধি, অগ্নিকাণ্ড, সামাজিক কলহ, গৃহ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যেতে পারে আশঙ্কা করা হয় প্রতিবেদনে। এই কারণে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় এইচআরডব্লিউ।
“বাংলাদেশ আমার দেশ নয়ঃ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অঙ্গীকার” শীর্ষক ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, “আরও যে কয়দিন বাংলাদেশে থাকবে রোহিঙ্গারা সেসময়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় এবং পর্যাপ্ত শিক্ষা দেওয়া উচিত”।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর মধ্যে জেলার উখিয়া উপজেলায় থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ঐ প্রতিবেদনে। উখিয়ার কুতাপালং-বালুখালি রোহিঙ্গা শিবিরেই প্রায় ছয় লক্ষ শরণার্থী অবস্থান করছে। পৃথিবীর সবথেকে বড় শরণার্থী শিবির এটিই।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাও বন্যা ও পাহাড় ধসের ঝুঁকির কথা জানিয়েছিল। বাংলাদেশের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী ত্রাণ ও পুনঃবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম আল জাজিরাকে বলেন, “কোন সন্দেহ নেই যে, ক্যাম্পগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে। কিন্তু এটাও সত্যি যে, আমাদের খুব বেশি জমি নেই। আমাদের নিজেদেরই জনসংখ্যা ১৬ কোটির ওপর আর আমাদের ভূমির পরিমাণ খুবই কম। তাই সকল রোহিঙ্গার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা কঠিন”।
তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, প্রায় এক লক্ষ শরণার্থীকে ভাসান চর দ্বীপে স্থানান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর জাতিগত নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় সাত লক্ষ মানুষ।
সূত্রঃ আল জাজিরা
//এস এইচ এস//