স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন নেত্রকোণার রোয়াইলবাড়ি
প্রকাশিত : ০৮:৩৪ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৮:৩৪ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৬ শনিবার
স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন নেত্রকোণার কেন্দুয়ার রোয়াইলবাড়ি। গঠনশৈলীর কারণে প্রত্মতাত্ত্বিকরা একে গৌড়ের ১৪ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের ধারণা, এটা মুঘল আমলে কোনো সেনাপতির বাসভবন ছিল। ৯০ এর দশকে এই দুর্গ আবিস্কারের পর ১৯৯২ সালে সরকার এটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
নেত্রকোনার রোয়াইলবাড়ী দুর্গ, পশ্চিমে বেতাই নদী, অপর তিনদিকে তিনটি পরিখা দ্বারা বেষ্টিত। প্রথমেই সিংহদ্বার। দুর্গের ভেতরে পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা একটি ইটের প্রাচীর দ্বারা দু’ভাবে বিভক্ত। এখানে রয়েছে, শানবাঁধানো পুকুর, কবরস্থান। দক্ষিণে বার দুয়ারী ঢিবি। এই এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য পাথর। প্রত্যেকটি ইমারতের গায়ে রয়েছে লতাপাতা ও ফুল ফলের রঙ্গীন কারুকাজ। দেয়ালে পোড়ামাটির অলংকৃত ইট, ঝিনুকের কারুকাজ।
ঐতিহাসিকদের মতে, বাংলার সুলতান হুসেন শাহ, নুসরত শাহ ও পরবর্তীতে ঈসা খাঁ এই রোয়াইলবাড়ি দুর্গ থেকেই ভাটি বাংলা শাসন করতেন। তবে, কারও কারও মতে, মুঘল আমলের কোনো সেনাপতির বাসভবন ছিল এটি।
১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্রত্মতত্ত্ব বিভাগ এই দুর্গের খনন কাজ চালালেও, পরে অর্থাভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৭ সালে ৫২ একর ভূমিকে দুর্গ এলাকা ঘোষণা করে সরকার। পুরো এলাকা খনন করলে অসংখ্য প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এলাকাবাসী বলছে, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এটি হয়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।