ঢাকা, রবিবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

গাজীপুরে দখলবাজদের থাবায় বনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে

প্রকাশিত : ০৮:৪৭ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৮:৪৭ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৬ শনিবার

সমভূমি আর ছোট-বড় টিলা আর সবুজ বনে বেষ্টিত গাজীপুর জেলা। আয়তনের এক তৃতীংশ জুড়েই রয়েছে বনাঞ্চল। বন বিভাগের হিসাবে প্রায় ৬৫ হাজার একর বনভূমির ১১ হাজার একর জমি দখলদারদের কব্জায়। বনের ভিতরেই রয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। নিষিদ্ধ থাকলেও ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে শত শত স’মিল। রাজধানীর ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুর। মোট আয়তনের প্রায় এক তৃতীয়ংশ বনভূমি। সমতল, ছোট বড় টিলা, লালমাটি আর বনের সবুজতা এ জেলাকে দিয়েছে অন্যরকম এক পরিচিতি। কিন্তুু দখলবাজদের থাবায় বনের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। বনের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠান, কল কারখানা।  বন উজাড় করে গড়ে তোলা হয়েছে ঘর বাড়িসহ নানা স্থাপনা। বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী প্রায় তিন শ’রও বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্লটের পাশাপাশি দখল করেছে বনের জমি। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি কারখানা গড়ে উঠেছে বন উজাড় করে। বন বিভাগের তালিকা অনুযায়ী বন দখল করা কারখানাগুলো হলো, পারটেক্স এর অন্যতম প্রতিষ্ঠান অম্বের গ্রুপ দখল করে আছে বনের প্রায় ৪০ একর জমি।শামসুদ্দিন স্পিনিং মিলস দখল করেছে প্রায় ৭ একর। রহমত টেক্রটাইল মিলস্ এর দখল করা জমির পরিমাণ প্রায় ১২ একর। হানিফ স্পিনিং মিলস্ প্রায় ৬ একর, কোকেলা ফুড প্রোডাক্টস প্রায় ১০ একর আর যমুনা গ্রুপের দখলে সাড়ে চার একরেরও বেশী বনের ভূমি। প্রতিনিয়তই কাটা পড়ছে বনের গাছ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থোরাই কেয়ার করছে বনখেকোরা। রাতের আধারেই নয়, দিনের আলোতেই কাঠ পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ। বনের ভিতরেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য করাত কল। তোয়াক্কা করছে না কেউই। কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগ সাজসেই গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ করাত কলগুলো। এসব নিয়ে ঢাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও প্রধান বন সংরক্ষকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তবে, দখল, দুর্নীতিসহ সব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেন, দখলবাজরা প্রভাবশালী হওয়ায় তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সময় সাপেক্ষ।