ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ফারমার্স ব্যাংকের চিশতীর বিরুদ্ধে দুদকের আরেক মামলা   

প্রকাশিত : ১০:৩০ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৮ বুধবার

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ফারমার্স ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে।   

বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান। ভ্রমণ ভাতা বাবদ প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়।

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রচলিত বিধি উপেক্ষা করে ব্যবসায়িক বৈঠকের নামে ২০১৭ সালের ১৯ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত লন্ডন ও আরব আমিরাত ভ্রমণ করেন তিনি। ওই সফরের ভ্রমণ ভাতা বাবদ ব্যাংকের ৯ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৩ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন।

এদিকে ব্যাংকের বিধি মোতাবেক ওই ভ্রমণে পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্যের যাওয়ার সুযোগ নেই। সফরে যাওয়ার কথা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় যুক্ত কর্মকর্তাদের।

তারপরও মাহবুবুল হক চিশতী অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এই সফরে যান, যা ব্যাংকের অর্থে বিদেশ ভ্রমণ ছাড়া আর কিছুই না। তাই তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে।

এর আগে এ বছর মাহবুবুল হক চিশতী, তার স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতীসহ ব্যাংকটির জ্যেষ্ঠ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্ত্রী, সন্তান ও নিজের নামে এবং নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ২৫টি হিসাব খোলেন বাবুল চিশতী।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা ওই ২৫টি হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।

এসব টাকা নিজেদের হিসাবে স্থানান্তর ও লেয়ারিংয়ের পাশাপাশি নিজেদের নামে কেনা শেয়ারের দাম পরিশোধ করেছেন।

অর্থপাচার আইনে করা ওই মামলায় যে তিনজন ব্যাংকারকে আসামি করা হয় তারা হলেন ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান ও ব্যাংকের গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন।

ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনা ২০১৭ সাল থেকে অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে নথিপত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হয়।

এমএইচ/এসি