স্মার্টকার্ড পাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ লাখ ২৫ হাজার নাগরিক
প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৩৭ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাগরিকরা আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র `স্মার্টকার্ড` গ্রহণ শুরু করেছে। সেই সাথে কাঙ্খিত স্মার্ট যুগে প্রবেশ করলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের অগ্রযাত্রায় আরও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো স্মার্টকার্ড।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৪ জন নাগরিকের হাতে পৌঁছে যাবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন আইডিইএ প্রকল্পটি নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দিয়ে আসছে। অতিমূল্যবান রাষ্ট্রিয় সম্পদটি যত্নসহকারে সংরক্ষণের অনুরোধ করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক।
পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করা এবং গ্রেপ্তার করার সহজ হবে। ফলে দেশে অপরাধ প্রবণতা কমবে।
যেসব তথ্য থাকছে স্মার্টকার্ডে: নাগরিকের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, পেশা, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, বয়স, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, দৃশ্যমান শনাক্তকরণ চিহ্ন, ধর্ম, জন্মস্থান, জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, আয়কর সনদ নম্বর, টেলিফোন নম্বর, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও পরিচয়পত্র নম্বর, প্রতিবন্ধী হলে সেই তথ্য স্মার্টকার্ডে থাকছে।
যেভাবে বিতরণ: বৃহস্পতিবার আলীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ভবানীপুর, কল্যাণপুর ও নয়াগোলা এলাকার ৩ হাজার ৯৪৬জন ভোটার স্মার্ড কার্ড পেয়েছে। একই স্থানে ১নং ওয়ার্ডের বাকী ভোটার ও ৩নং ওয়ার্ডের ভোটাররা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন। শহরের নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ ও ১৫নং, হরিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ ও ৫নং, রাজারামপুর হামিদুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬,৭ ও ৮নং, নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯, ১০ ও ১১নং, টিকরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ ও ১৩নং, আজাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪নং ওয়ার্ডের ভোটাররা স্মার্টকার্ড নিতে পারবেন। যাদের লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয় নেই তারা নির্ধারিত স্লিপ দিয়ে এনআইডি নম্বর জেনে বিতরণ কেন্দ্র থেকে স্মার্টকার্ড নিতে পারবেন।
ব্যবহার: আয়কর দাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর প্রাপ্তি ও নবায়ন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও নবায়ন, চাকরির জন্য আবেদন, স্থাবর সম্পত্তি কেনা-বেচা, ব্যাংক হিসাব খোলা ও ঋণ প্রাপ্তি, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য, সহায়তা প্রাপ্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিমানবন্দরে ই-গেইট এর মাধ্যমে আগমন ও বহির্গমন সুবিধা, শেয়ার আবেদন ও বিও অ্যাকাউন্ট খোলা, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ গ্রহণ, মোবাইল ও টেলিফোন সংযোগ গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের ই-টিকেটিং, সিকিউরড ওয়েব লগ ইন, ই-ফরম পূরণে নাগরিকের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোজনের কাজে ১০ ডিজিটের এই স্মার্টকার্ড ব্যবহার করা যাবে।
আরকে//