বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী নিয়ে ঢাকা কলেজের গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা
প্রকাশিত : ০২:৪৬ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০২:৪৮ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৮ শনিবার
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা কলেজের উদ্যোগে আন্তঃকলেজ গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (১১ আগস্ট, শনিবার) সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মো. সোহরাব হোসাইন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে সচেতন ও জাগ্রত করেছিলেন, ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছতে বঙ্গবন্ধু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার সেই দিকনির্দেশনা ও আর্দশকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সাবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে দেশেকে মুক্ত করে ১০ মাসের মাথায় তিনি বাংলাদেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন। সেই সংবিধান দিয়েই এখনও সঠিক ও সন্দুরভাবে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু তার জীবনের মূল্যবান সময় মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যয় করছেন। তিনি মানুষের স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে জীবনের ১৪ জেলে কাটিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শোষণ-নিপীড়নমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা। আর এ শ্রেষ্ঠ অধ্যায়ের মহানায়ক হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সমার্থক। তিনি ছিলেন অতুলনীয় সাহসী। বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষের প্রতি ছিল তাঁর সীমাহীন দরদ ও ভালবাসা। তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশ সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলতে যা যা করা দরকার সব করে গেছে। তার তার আর্দশ ধারণ করে সামনের দিকে পথ চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লাহ্ বলেন, বর্তমান প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে জানতে পারলে স্বাধীনতার চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। তাই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরও ঢাকা কলেজ এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।
প্রফেসর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লাহ্ বলেন, ঢাকা মহানগরীর ১৪ টি কলেজের শুধু একাদশ শ্রেণীর (২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিযোগিতায় ১ম বিজয়ীকে দশ হাজার টাকা অথবা সমমূল্যের বই, ২য় বিজয়ীকে আট হাজার টাকা অথবা সমমূল্যের বই, ৩য় বিজয়ীকে সাত হাজার টাকা অথবা সমমূল্যের বই পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। এছাড়াও নির্ধারিত বেশ কিছু বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় ঢাকা কলেজসহ ঢাকা মহানগরের ১৪ টি কলেজের একাদশ শ্রেণির (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। উক্ত প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে পঞ্চাশ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল নেহাল আহমেদ, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামীম আরা বেগম সহ উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন কলেজের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালবৃন্দ।
টিআর/