চীনে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি রাখার অভিযোগ
প্রকাশিত : ০৬:০৮ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৮ শনিবার
চীন সরকার দেশটির ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলমানকে ‘কাউন্টার-এক্সটেরিমিজম সেন্টার’-এ বন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে কমিশনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
জাতিসংঘের বর্ণবাদী বৈষম্য নিশ্চিহ্নকরণ সংক্রান্ত কমিটিতে চীনের ওপর আলোচনার শুরু হয়েছে শুক্রবার। দুই দিনের এ আলোচনা সোমবার শেষ হবে।
আলোচনার শুরুতে শুক্রবার চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন পেশ করেন কমিটির সদস্য গে ম্যাকদুগাল।
প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, চীন স্বায়ত্তশাসিত উইঘুর অঞ্চলকে এক প্রকার বন্দি শিবিরে পরিণত করেছে, এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন কমিটির সদস্যরা।
এছাড়াও আরো ২০ লাখ মুসলমানকে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মতাদর্শে দীক্ষিতকরণের অংশ হিসেবে রি-এডুকেশন ক্যাম্পে বন্দি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে আলোচনায় অংশ নেওয়া চীনের ৫০ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
আলোচনার শেষ দিন সোমবার এ ব্যাপারে জবাব দেবেন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে চীন এ ধরণের বন্দি শিবিরের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করছে।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো জাতিসংঘে প্রতিবেদন দিয়েছে, যাতে ব্যাপকহারে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের বন্দি করা কথা বলা হয়েছে। ক্যাম্পে বন্দি করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংগঠনগুলো।
দ্য ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস তাদের রিপোর্টে বলেছে, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বন্দি করা হচ্ছে এবং কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে উচ্চস্বরে স্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বন্দিদের সামান্য খাবার দেওয়া এবং ব্যাপকহারে নির্যাতনের অভিযোগও করেছে সংগঠনটি। কিন্তু চীন বলছে, ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ দমনের অংশ হিসেবেই তাদের বন্দি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উইঘুর হলো চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিম সম্প্রদায়। যারা সেখানকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ। চীনের সংবিধান বা আইন অনুযায়ী জিনজিয়াং তিব্বতের মতো স্বায়ত্তশাসিত এলাকা। তবে জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মুসলমানদের গণহারে বন্দি করা হচ্ছে- এমন খবর গত কয়েক মাস ধরেই প্রচার হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি ও আল-জাজিরা।
এমএইচ/ এসএইচ/