সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে চান জবির শাহাবুদ্দীন
জবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৮ শনিবার
জীবনে সফলতা পাওয়া সত্যি আনন্দের একটা বিষয়। সেই সফলতার জন্য কোনো সম্মাননা পাওয়া সেটাও অনেক মধুর। তেমনি একজন সফল ব্যক্তির কথা পাঠদের জন্য তুলে ধরা হলো।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সিজিপিএ-৩.৯১ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ করেছেন।
তিনি নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মদনপুর গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা. মো. নূরুল হক একজন কৃষক ও মাতা. মরিয়ম আক্তার একজন গৃহিণী।তিনি পরিবারের আটজন ভাই বোনের মধ্যে সপ্তম।
তিনি মদনপুর রিয়াজুল উলুম আলিম মাদরাসা পড়াশুনা করেছেন। তিনি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন।
তার ধারাবাহিকতায় দাখিল ও আলিম শ্রেণিতে গোল্ডেন জিপিএ এ প্লাস পান। তারপরে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি সম্মানের সঙ্গে স্নাতকে সিজিপিএ -৩.৯১ পেয়ে পাস করেন। তার একজন প্রিয় শিক্ষকের উক্তি, "যিনি পারেন, সবখানেই পারেন।"
তার ভালো ফলাফলের পেছনে মা-বাবা, শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তার মা চান, ছেলে যেন মানবকল্যাণধর্মী কিছু একটা করুক। তার বাবা নিজে পড়াশোনা জানে না। তবুও তার পিতার প্রত্যাশা ছেলে যেন পড়াশোনটা করার মত করে। তাই তিনি পিতা মাতার প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য সবোর্চ্চ চেষ্টা করে গেছেন। ফলে পেয়ে গেছেন কাঙ্ক্ষিত সফলতা।
তার সারাজীবনের একটা স্বপ্ন সেটা হলো আদর্শবান শিক্ষক হওয়া। তবে তিনি তার আগে ভালো মানুষ হতে চান। তার মতে, "শিক্ষা পবিত্র বিষয়, আর শিক্ষকরা হলেন তা বিতরণকারী"।
তিনি বলেন, কিছু বিষয় অনুভব করা যায়, দেখানো যায় না। তাই স্বর্ণপদক পাওয়ার অনুভূতি তার চেয়ে কম ছিল না! আর তিনি যেহেতু ভাইদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ও একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়েন তাই তাদের অনুভুতিও অন্যরকম ছিল।
প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেয়ে তার অনেক ভালো লেগেছে। তবে তিনি বলেন, পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রদের সংখ্যা কম ছিল!
ছাত্র- ছাত্রী সমান হলে ভালো লাগতো! কারণ, তিনি সমান অধিকারে বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক পাওয়া তো সত্যিই আনন্দের। আগামীর সোনার বাংলাদেশ গড়ায় একজন অংশীদার হতে চান এই মেধাবী।
এসএইচ/