ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চিকেন পক্স থেকে রক্ষা পেতে করণীয়

প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ১২ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১২:২০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার

আগে সবাই বসন্তের শেষের দিকে খুব সাবধানে থাকতেন। কারণ ওই সময়টায় চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকতো। কিন্তু এখন আবহাওয়ায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। বর্ষার সময় এখন বেশ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এখন বছরের যে কোনও সময়েই চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চিকেন পক্স একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি ভ্যারিসেলা ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১০ থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সারা শরীরে ছোট ছোট জল ফোসকার মতো লালচে গোটা দেখা যায়। এটাকেই আমরা মূলত চিকেন পক্স বলি। এর সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা শুরু হয় এবং রোগী বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগের সব চেয়ে খারাপ দিক হল লালচে গোটার চুলকোনি। পানি যুক্ত এই লালচে গোটা ফেটে গেলে তা আরও বেশি মাত্রায় ওঠা শুরু করে। কিন্তু সাবধানে থাকলে এই রোগে তেমন কোনও চিকিৎসা ছাড়াই আরোগ্য পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সব চেয়ে ভাল হয়, যদি রোগে আক্রান্তের পর প্রতিকার করার চেয়ে আগে থেকেই সেটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা যায়। আমরা একটু সাবধানে থাকলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে পারি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী সাবধানতা অবলম্বন করলে আমরা রক্ষা পেতে পারি চিকেন পক্স থেকে।

খাবারের ব্যাপারে সাবধানতা

১. স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার যেমন চর্বি যুক্ত মাংস ও ফুল-ফ্যাট দুধ। এতে থাকা ফ্যাট ভ্যারিসেলা ভাইরাসে আক্রান্তের জন্য আমাদের দেহকে তৈরি করে। তাই এই সময় এই ধরণের চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।

২. আরজিনিন নামের একটি এমাইনো এসিড রয়েছে যা চিকেন পক্সের ভাইরাসকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। আরজিনিন যুক্ত খাবারগুল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। যেমন, চকোলেট, বাদাম এবং বীজ জাতীয় যে কোনও খাবার এই সময় না খাওয়াই ভাল।

পক্স হলে করণীয়

১. ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করবেন না। হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। সব চেয়ে ভাল হয় যদি নিম পাতা সেদ্ধ পানিতে গোসল করতে পারেন।

২.  সাবান পানি দিয়ে পক্স ধুতে পারবেন। তবে গা ঘষতে যাবেন না।

৩. এক বালতি হালকা গরম পানিতে এক কাপ ওটমিল পাউডার ভিজিয়ে রেখে তা দিয়ে গোসল করে নিন। এতে চুলকানি অনেকটাই কমবে। ওটমিলে বিটা গ্লুকোন ও অ্যাভেনানথ্রামাইড রয়েছে যা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। চাইলে বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারেন।

৪. গোসল শেষে তোয়ালে বেশি চেপে গা মুছতে যাবেন না। যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভাবেই শরীর শুকিয়ে নিন।

৫. চুলকানি কমাতে ওলিভ অয়েল বা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।

সূত্র: জিনিউজ

একে//