‘বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে ফেরানোর ব্যাপারে অগ্রগতি’
প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৪:০৮ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৮ রবিবার
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার দায়ে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিদেশে পালিয়ে থাকা একজন আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি আছে। তিনি বলেন, দুজনের সম্পর্কে তথ্য জানি। তাদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে আসামি রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় ও নূর চৌধুরী কানাডায়। তাদের ফিরিয়ে আনতে আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, কানাডার সরকারসহ অনেক দেশই মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে। তারা এ কারণে ফেরত দিতেও অনীহা দেখাচ্ছে। এছাড়া খুনিরা যে যেখানে আছে, সেখানে তারা শিকড় গেড়ে আছে আছে বলে জানান আনিসুল হক।
‘তবে অপর একজন আসামির ব্যাপারে অগ্রগতি আছে। এখন তা বলা যাবে না,’ যোগ করেন আনিসুল হক। এই আসামির ব্যাপারে বিস্তারিত বললে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আর দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন পলাতক।
বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নূর চৌধুরী ও সাবেক মেজর বজলুল হুদা সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেন। এ ঘটনায় বজলুল হুদার মৃত্যুদণ্ডাদেশ এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। তবে নূর চৌধুরী এখনও পলাতক। অপর পলাতক আসামিদের মধ্যে সাবেক সেনাসদস্য ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনও সঠিক সরকারি তথ্য নেই। অপর পলাতক আসামিরা হলেন বরখাস্তকৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ ও শরিফুল হক ডালিম। ঢাকায় পররাষ্ট্র দফতর এর আগে পলাতক আসামিদের মধ্যে জিম্বাবুয়েতে বরখাস্তকৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ পাশার স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।
একে//