ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রোহিঙ্গা ইস্যু: আইসিসির এখতিয়ারের প্রশ্নে সুচির না

প্রকাশিত : ০৫:৩০ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৮ রবিবার

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ‘বিতাড়নের` ঘটনা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) একজন প্রসিকিউটরের আবেদনে আপত্তি জানিয়েছে মিয়ানমার৷। বিষয়টি নিয়ে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে মিয়ানমারের বক্তব্য চেয়েছিলেন আইসিসির বিচারকরা৷ এ বিষয়ে মিয়ানমার কেন আইসিসির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চায় না এবং তারা কেন বক্তব্য দেবে না, তার একটি ব্যাখ্যাও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির দফতর দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷

এক বিবৃতিতে সুচির দফতর বলেছে, ‘প্রসিকিউটরের আবেদন মিয়ানমারের ওপর বিচারিক এখতিয়ার পাওয়ার একটি পরোক্ষ চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে, যেখানে দেশটি রোম সনদের স্টেট পার্টিই নয়৷` এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আইসিসির বক্তব্য পায়নি রয়টার্স৷

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের বিষয়টি তদন্ত করার এখতিয়ার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, আইসিসির আছে কিনা, সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন ওই আদালতেরই একজন কৌঁসুলি৷ আদালতে দাখিল করা নথিপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷

বিশ্বের প্রথম স্থায়ী যুদ্ধাপরাধ আদালত আইসিসির শুধু সদস্য দেশগুলোর ভেতরের বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনার এখতিয়ার রয়েছে বা বিষয়গুলো তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাঠাতে পারে৷

তবে রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের ঘটনা ‘আন্তঃসীমান্ত বিরোধের মধ্যে পড়ে` বলে আইসিসি প্রসিকিউটর ফাতোও বেনসুদা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আদালতের কাছে আবেদন করেন৷ এরপর আদালত বাংলাদেশের কাছে বিষয়টি নিয়ে মতামত চাইলে তাতে সম্মতি জানানো হয়েছিল বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন৷

অং সান সুচির দফতর বলেছে, প্রসিকিউটরের এই মামলায় অংশ হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই মিয়ানমারের এবং এ বিষয়ে এখতিয়ার দেওয়া হলে তা ভবিষ্যতে ‘নানা জনপ্রিয় বিষয়` এবং আইসিসি সদস্য বহির্ভূত দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার একটি ‘বিপজ্জনক নজির‘ তৈরি হবে৷``

গত বছর আগস্টের শেষ দিকে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরু হলে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে৷ কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে বলে জাতিসংঘের ভাষ্য৷

কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের মতো মানতবাবিরোধী অপরাধের বিবরণ দিয়েছেন৷

মিয়ানমার বাহিনীর ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান` হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা৷

তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে।

এসএইচ/