বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে ভারতে
প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার
ভারত সরকার চীন থেকে আমদানি করা ৩২৮টি বস্ত্র ও পোশাক খাতের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করেছে। এত দিন এই শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ; তা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। স্থানীয় বস্ত্র খাতকে এ সুবিধা দিতে এবং চীন থেকে আমদানি নিয়ন্ত্রণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ভারতের এ সিদ্ধান্তে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাকের কদর আগের চেয়ে বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের আশা চীনের পোশাক পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ফলে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের রফতানি আয় আরো বাড়বে। এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের ভারতে বাংলাদেশের পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১১৫ শতাংশ। আর প্রতিবেশী দেশ, জাহাজীকরণে সময় কম ও কম খরচে উন্নতমানের পণ্য সহজেই রপ্তানি করতে পারবে। ফলে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাকের কদর আরো বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো।
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (সিআইটিআই) সূত্রে জানা য়ায়, যেসব পণ্যে শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়েছে এমন কয়েকটি পণ্যের মধ্যে রয়েছে জ্যাকেট, স্যুট, অন্তর্বাস, পায়জামা, শিশুদের কাপড়, ট্রাক স্যুট, সুইমিং ওয়্যার ইত্যাদি। ভারতের বাজারে সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন। এ ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় তুলা উৎপাদনকারী দেশ হওয়ার পরও গত অর্থবছরে বস্ত্র ও পোশাক খাতের পণ্য আমদানিতে দেশটিতে চীনের আয় বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। ভারত এ সময় ৭০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে এর মধ্যে ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য আসে চীন থেকে।
বাংলাদেশ এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, পোশাক পণ্য আমদানিতে ভারত শুল্ক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের নতুন বাজার হিসেবে রফতানি আয় বাড়বে। তিনি বলেন, ভারতের বিশাল পোশাকের বাজারে এরই মধ্যে আমাদের ১১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরকে//