ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

স্বাধীনতার দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ হংকং-এ

প্রকাশিত : ১১:২৩ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার

চীনের স্বায়ত্তশাসন নয়ং বরং পূর্ণ স্বাধীনতার দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ চলছে হংকং-এ। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা অ্যান্ডি চ্যান আবারও বসেছেন রাজপথে। দাবি দেশটির পূর্ণ স্বাধীনতার। সাহায্য চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের।

বর্তমানে চীনের অধীনের স্বায়ত্তশাসনে আছে হংকং। তবে হংকংকে চীন ‘আত্মসাৎ এবং ধ্বংস করছে’ বলে অভিযোগ অ্যান্ডি চ্যান এর। হংকং ন্যাশনাল পার্টি নামের ছোট পরিসরে কার্যক্রম থাকা এক রাজনৈতিক দলের প্রধান চ্যান চীনের সমালোচনা করে বলেন যে, চীন হংকং এর ‘ঔপনিবেশিক প্রভু’। ফরেইন করসপন্ডেন্ট ক্লাব (এফসিসি) এর একটি সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন চ্যান।

অ্যান্ডি চ্যান বলেন, “আমরা এমন একটি জাতি যা দ্রুত চীন দ্বারা আত্মসাৎ এবং ধ্বংস হচ্ছি। যদি হংকং সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক হতো তাহলে এর সার্বভৌমত্ব হংকং এর জনগণের কাছেই থাকতো। চীন, তার স্বভাবগত ভাবেই একটি রাজত্ব, যা পৃথিবীর সকল স্বাধীন এবং স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য হুমকি”।

‘হংকং ন্যাশনালিজমঃ এ পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট গাইড ট্যু হংকং আন্ডার চাইনিজ রুল’ নামের ঐ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং হংকং এর নেতা ক্যারি ল্যাম। আয়োজকদের বাঁধার মুখেও অ্যান্ডি চ্যানকে বক্তব্য দিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনড় ছিলো এফসিসি।

তবে হংকং সরকার এক বিবৃতিতে এই বক্তব্যের প্রতি নিন্দা জানান। সরকারের পক্ষে এক মুখপাত্র বলেন, “যেকোন মানুষের পক্ষে হংকং এর স্বাধীনতার কথা এমন খোলামেলাভাবে বলা এবং তার পৃষ্ঠপোষকতা করা অনুচিত এবং ভুল। আর এমন কথা বলার সুযোগ করে দেওয়াও কোন সংগঠনের জন্য উচিত নয়। এটা গ্রহণ করা যায় না”।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও চ্যানের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায় যে, হংকং-কে চীন থেকে আলাদা করার কথা বলা দেশটিতে বলবত থাকা আইন অনুযায়ী অপরাধ। আর এফসিসি সেই আইনের বাইরে নয় বলেও জানায় চীন। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিএ আরও বলা হয়, “এফসিসি তাদের নিজেদের দিকে ভালো করে নজর দিবে এবং নিজেদের ভুল শোধরাবে এই দাবি করছি আমরা। পাশাপাশি তারা কার্যতভাবে চীন এবং স্পেশাল অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ রিজিওন এর আইন মানবে এবং ১৪০ কোটি চাইনিজ মানুষের আবেগের মর্যাদা তারা রাখবে এমনটাই আমরা আশা করি”।

সূত্রঃ আল জাজিরা

//এস এইচ এস//