ঢাকা, রবিবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

বন্যা পরিস্থিতির আরো অবণতি

প্রকাশিত : ০৯:২৮ এএম, ১ আগস্ট ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০৯:২৮ এএম, ১ আগস্ট ২০১৬ সোমবার

বন্যা পরিস্থিতির আরো অবণতি হয়েছে। জামালপুরে ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলা সদরের সঙ্গে ৫ উপজেলার সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। লালমনিরহাটে বন্যার পানি নামার পর পরই শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন। বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থানে ত্রাণের অপেক্ষায় রয়েছে মানুষ। জামালপুরে উজানের পানি কিছুটা কমলেও দক্ষিণ সরিষাবাড়ী এলাকায় পানি বেড়েছে। যমুনার পানি বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। পানির চাপে ভাটারা-ফুলবাড়ীয়া সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় জামালপুরের সঙ্গে সরিষাবাড়ীর রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সড়ক ভেঙ্গে গেেছ। মেলান্দহ, ইসলামপুর এবং দেওয়ানগঞ্জে এখনও রেল লাইন পানির নিচে তলিয়ে থাকায় তিন উপজেলার সঙ্গে জামালপুর সদরের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বানের পানিতে ঘর হারিয়ে দিশেহারা বহু মানুষ। কদিন আগেও তাদের সব ছিলো, এখন তারা নিঃস্ব। তিল তিল করে গড়ে তোলা সংসার চলে গেছে তিস্তা ও ধরলার গর্ভে। বানের পানি নেমে যাওয়ার পরপরই লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন। তিস্তা ও ধরলা তীরবর্তী প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষের বসতভিটা, আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা চলে গেছে নদীগর্ভে। বন্যার পর নদী ভাঙ্গনে অসহায় হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষেরা। সিরাজগঞ্জে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও কমেনি দুর্ভোগ। চরাঞ্চলসহ যমুনা তীরবর্তী এলাকার ঘর বাড়িতে ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে পানি। শুরু হয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও পায়নি তারা। বন্যাকবলিত এলাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। এ অবস্থায়ও বানভাসীদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা তুলছে স্থানীয় এনজিওগুলো।