রোজ গার্ডেন কিনে নিচ্ছে সরকার(ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার
রোজ গার্ডেন প্যালেস, দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের পরিকল্পনা হয় এই রোজ গার্ডেনেই। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই স্বাধীনতা পায় বাঙালী। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় রোজ গার্ডেন কিনে নিচ্ছে সরকার। ইতিহাসবিদরা বলছেন, রোজ গার্ডেনের মতো দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংরক্ষণে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
রোজ গার্ডেন, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক এক বাগানবাড়ী। ১৯৩১ সালে ঋষিকেশ দাশ নামের শৌখিন ব্যবসায়ী ২২ বিঘা জমির উপর নির্মাণ করেন দ্বিতল ভবনটি। তবে, বাসভবন হিসেবে নয়, ভবনটি শুরু থেকেই বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
প্রায় ৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের ভবনটি উচ্চতায় ৪৫ ফুট। স্থাপত্যে করিন্থীয়-গ্রিক শৈলী অনুসরণ করা হয়েছে। লতাপাতা, জ্যামিতিক নকশায় ভবনের বিভিন্ন অংশ কাঠ, রঙিন কাঁচ ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি। বাগানে সুদৃশ্য ফোয়ারা, পাথরের ভাস্কর্য।
মনোরম এই ভবনটি সাজানোর কাজ শেষ করতে পারেন নি ঋষিকেশ। দেউলিয়া হয়ে ১৯৩৭ সালে খান বাহাদুর আবদুর রশীদের কাছে বিক্রি করে দিলে বাড়ির নাম হয় রশীদ মঞ্জিল। এরপর ১৯৬৬ সালে এর মালিকানা পান রশীদের বড় ভাই কাজী হুমায়ুন বশীর। ভবনটি পরিচিতি পায় হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি হিসেবে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই বাড়িতে বসেই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের পরিকল্পনা হয়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির জন্মস্থান হিসেবে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে রোজ গার্ডেন।
১৯৮৯ সালে রোজ গার্ডেনকে সংরক্ষিত ভবন ঘোষণা করে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর। চলতি বছরের ৮ আগস্ট ৩শ’ ৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ভবনটি কিনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারের সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে ঐতিহ্যবাহী অন্যান্য স্থাপনা সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ইতিহাসবিদরা।
ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্বার্থেই প্রত্তাতাত্ত্বিক এ’সব নিদর্শন সংরক্ষণ জরুরি।