ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

জামায়াত ইসলামী সরকারীভাবে নিষিদ্ধ হলেই জোটে রাখা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া বিএনপি জন্য সহজ হবে

প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০২:২৭ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৬ বুধবার

রাজনৈতিক দল হিসাবে জামায়াত ইসলামী সরকারীভাবে নিষিদ্ধ হলেই ধর্মভিত্তিক এই দলটিকে জোটে রাখা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া বিএনপি জন্য সহজ হবে । জাতীয় ঐক্য গঠনে এই দলটিকে  নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে এদাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। জামাতকে ইস্যু করে অশুভ রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য তাদের। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের আগ্রাসী- অশুভ প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি গনতন্ত্রকামী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশও। আর তারই মানবেতর বহিঃপ্রকাশ গুলশানের আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলা। ঘটনার পরপরই সন্ত্রাসবাদ রুখতে জাতীয় ঐক্যেও ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তবে সরকার জামাতকে জোটে রাখলে কোনো ঐক্য সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয়। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও বৃহত্তর ঐক্যের সার্থে জামাতকে বাদ দেয়ার পক্ষে মত দেন। এরপর ধর্মভিত্তিক এই দলটির অবস্থান নিয়ে আলোচনা শুরু হয় খোঁদ ২০দলীয় জোটে। জাতীয় ঐক্য গঠনে সরকারকে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছে বিএনপি। সময়ের দাবীতে জোটে জামাতকে রাখা হবে কিনা তা নিয়েও  বিএনপিতে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। রাষ্ট্রের অভিবাবক হিসেবে নিরাপত্তার স্বার্থে কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার অধিকার শুধু মাত্র সরকারের। তাই জামাতকে নিয়েও সরকারকেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। শুধুমাত্র কৌশলগত ভাবে ধর্মভিত্তিক দল জামাতকে জোট থেকে বাদ দেয়া নয়, দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।