এলভিস প্রিসলির সোনার বাথটাব থাকা ঘর নিলামে
প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৫:০২ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮ রবিবার
এলভিস প্রিসলি ৬০ ফুট লম্বা একটি মোবাইল হোম তথা ক্যারাভানে ছুটি পেলেই সেখানে গিয়ে সময় কাটাতেন। এটি নিঃসন্দেহে তার ভক্ত থেকে শুরু করে যেকোনও ভ্রমণকারীর জন্য কাঙ্ক্ষিত একটি পর্যটন গন্তব্য।
যুক্তরাষ্ট্রের তিনিসির মেম্ফিসে এলভিস প্রিসলির বাড়ি গ্রেসল্যান্ডের কাছে ১৬৩ একর জমির ওপর তার আরেকটি বাড়ি ছিল। সার্কেল জি র্যাঞ্চ নামের ওই আবাসিক স্থানে ক্যারাভান আকৃতির ঘর ছিল। সেগুলোর মধ্যে ৬০ ফুট লম্বা একটি মোবাইল হোমটিকে তোলা হচ্ছে নিলামে। এর সুবাদে বিশ্বসংগীতের একটুকরো ইতিহাস নিজের করে রাখার সুযোগ পাবেন আগ্রহী ক্রেতারা।
আগামী ২৫ আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসের জিডব্লিউএস অকশনসে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এর শিরোনাম ‘লিজেন্ডস: আইকনিক ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক মেমোরাবিলিয়া’।
জিডব্লিউএস অকশনসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রিজিট ক্রুস বলেছেন, “এই বিশেষ মোবাইল হোমের সঙ্গে পপ সংস্কৃতির অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ১৯৬৭ সালে বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর পর দু’বার এর মালিকানা বদল হয়েছে। তবে তাদের কেউই নাম নিবন্ধন বদলাননি! কারণ তারা চেয়েছেন, বাড়িটি এলভিসের নামেই থাকুক।”
সার্কেল জি র্যাঞ্চের মোবাইল হোম ছিল মূলত ভক্তদের উন্মাদনা থেকে এলভিসের পালিয়ে বেড়ানোর জায়গা। মিডিয়ার মনোযোগ এড়াতে এই বাড়ি বেছে নিতেন এলভিস, তার স্ত্রী প্রিসিলা ও ‘মেম্ফিস মাফিয়া’ নামে তাদের একদল বন্ধু।
ষাটের দশকে বাড়িটি যেমন ছিল, সম্প্রতি বেশ যত্ন নিয়ে তেমন নিখুঁতভাবে সাজানো হয়েছে। সাদাসিধে ইন্টেরিয়র, বেশিরভাগ অংশ জুড়ে কাঠের দেয়াল, ছোট রান্নাঘর, সোনালি রঙা বিশ্রামের কক্ষ; সব যেন একইরকম আছে! এলভিস সোনা বেশ পছন্দ করতেন। তার বাড়ির সর্বত্র রয়েছে সোনালি আবহ। সব মিলিয়ে বাড়িটি যেন ‘এলভিস মিউজিয়াম’।
নিলামে ভাগ্যবান ক্রেতা শুধু বাড়িই নয়, সঙ্গে এলভিস স্বাক্ষরিত বাড়ির মূল দলিল পাবেন। ব্যক্তি ছাড়াও জাদুঘর কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোবাইল হোম ছাড়াও এলভিস প্রিসলির দুটি গাড়ি ও গ্রেসল্যান্ডের ট্রাভেলিং রেপ্লিকা।
এসি