ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ইমরানকে সমর্থন, প্রথম বৈঠক চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮ রবিবার

পাকিস্তানে বইছে নতুন দিনের হাওয়া । ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খানের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশটির মানুষ নতুন করে রাজনৈতিক মেরুকরণের আশা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের খেলার ঘুটি থেকে বেরিয়ে এসে, পাকিস্তান আঞ্চলিক রাষ্ট্র হিসেবে অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী হবে এমন প্রত্যাশা করছিল দেশটির মানুষ। তবে শপথগ্রহণের পরই ইমরান বিশ্ব রাজনীতির দিকে নজর দিতে পারে, আর সে জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র যে কর্তৃত্ব হারাবে, তা নিঃসন্দেহে ঠের পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই ইমরানের প্রথম সাক্ষাৎ চাইছে ওয়াশিংটন। এরইলক্ষ্যে আগামী সপ্তাহেই ইসলামাবাদ সফরে আসছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও।

ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনাকালে দুইটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে ইতোমঝ্যে জানিয়েছেন পম্পেইও। শিথীল হয়ে যাওয়া সম্পর্ক চাঙ্গা করা ও আফগানিস্তানের তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের শক্তিশালী ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে পাকিস্তান মার্কিন ব্লক থেকে বেরিয়ে এসে চীনা ব্লকের দ্বারস্থ হয়েছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করেছে পাক কর্মকর্তারা। এরই জের ধরে পাকিস্তানে সব ধরণের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যা দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি করে।


গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আফগানিস্তানে যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে পাকিস্তানের সহায়তা দরকার। আফগানিস্তানে যেভাবে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে চলেছে, তা যদি বন্ধ করা সম্ভব না হয় তাহলে পাকিস্তানকেও এর জন্য ভুগতে হবে। আর এ জন্যই আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

মার্কিন মুলুক মনে করে তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে। তারা (পাকিস্তান) চাইলে শান্তি আলোচনায় তালেবানের সক্রিয় অংশগ্রহণ সম্ভব। কাবুলের রাজনীতিতে ইসলামাবাদকে তাই ভূমিকার রাখার কথা বলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এদিকে আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তান ছাড়াও সৌদি আরবেরও সহায়তা চেয়েছেন পম্পেইও। গত সোমবার ক্রাউন প্রিন্স সালমানকে এক টেলিফোন বার্তায় পম্পেইও এ কথা বলেন।


এদিকে পাকিস্তানে নির্বাচন পূর্ববর্তী-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বারবার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এখন ইমরানকেই বেছে নেওয়ার পক্ষে তারা। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাদের সঙ্গে কাজ করবে। দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে তাই ইমরান খানকে পাশে চাইছে দেশটি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা ইমরান খানকে সমর্থন করছি।’

এমজে/