ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

অভিশপ্ত মমি...

প্রকাশিত : ০৬:৩২ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৫:৩৭ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

প্রতিকী ছবি

প্রতিকী ছবি

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর। অস্ট্রিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ওটজাল পর্বতমালায় খুঁজে পাওয়া গেল প্রায় ৩ হাজার ৩০০ বছরের পুরনো এক প্রাকৃতিক মমি।

জায়গার নাম অনুযায়ী মমিটির নাম রাখা হল ওটজি। সন্ধান পাওয়ার বছরখানেক পর থেকেই ওটজিকে ঘিরে এমন সব ঘটতে ঘটতে থাকল, লোকে মমিটিকে অভিশপ্ত ভাবতে শুরু করল। এর যুক্তিও আছে। কারণ মমিটিকে নিয়ে যারাই কাজ করতে গেলেন, তাদের কারো মৃত্যু হয়, কেউ পড়তেন মহাবিপাকে।

ওটজিকে প্রথম দেখতে পান জার্মানির পর্যটক হেলমুট সাইমন। ২০০৪ সালে হাইকিংয়ের সময় পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি। যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি প্রথম ওটজিকে দেখেছিলেন, এর কাছাকাছি জায়গাতেই তার মৃত্যু হয়।

তার মৃতদেহ খুঁজতে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছিল। এর প্রধান ছিলেন ডিয়েটার ওয়ারনেক। মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার পর আয়োজন করা হয় শেষকৃত্যানুষ্ঠানের। এর এক ঘণ্টার মাথায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ওয়ারনেক।

প্রত্নতত্ত্ববিদ কনরাড স্পিন্ডলার প্রথম ওটজির দেহটি পরীক্ষা করেছিলেন। তিনি মাল্টিপল সেক্লরোসিসে মারা যান। ওটজিকে নিয়ে পরীক্ষা করা ফরেনসিক টিমের প্রধান রেইনার হেন এক লেকচার দিতে যাওয়ার সময় মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়।

কার্ট ফ্রিৎজ নামের যে পর্বতারোহী হেনকে ওটজির কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিও তুষারধসে মারা যান। আবার ওটজিকে বরফের নিচ থেকে তুলে আনার দৃশ্য ধারণ করা অস্ট্রিয়ার সাংবাদিক রেইনার হোয়েলজল মারা যান ব্রেন টিউমারে।

সূত্র : হুরিয়াত ডেইলি।

/ এআর /