নদ-নদীর পানি কমলেও বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ
প্রকাশিত : ১০:১০ এএম, ৪ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১০ এএম, ৪ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার
নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গাইবান্ধা, জামালপুর, ফরিদপুর ও লালমনিরহাটে বন্যায় পানিতে ডুবে এপর্যন্ত মারা গেছে ২০ জন। এই চার জেলাসহ প্লাবিত ৮ জেলার ৪১ টি উপজেলায় পানিবন্দী প্রায় ৮ লক্ষাধিক পরিবার। বন্ধ হয়ে আছে এক হাজার ৭শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এক লাখ ৪০৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকার জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।
নদ-নদীর পানি এখন কমতে শুরু করলেও এর মধ্যেই অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেছে বন্যা কবলিত মানুষের।
একদিকে তারা সহায়সম্বল হারিয়ে যেমনি হয়েছে ঘর ছাড়া, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে গেছে বন্যা কবলিত এলাকার শিশুদের লেখা পড়া। দেখা দিয়েছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ আর স্বাস্থ্যসমস্যা। একই সাথে বিপুল পরিমান ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্য সংকট তৈরির আশংকাও দেখা দিয়েছে।
উত্তরের- গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ, শেরপুর মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর এই আট জেলার জেলাপ্রশাসন ও কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় এ পর্যন্ত
প্লাবিত এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ গুলোই হয়েছে এখন অসহায় মানুষগুলোর একমাত্র আশ্রয়স্থল। এসব জায়গায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি আর খাবারের তীব্র সংকট।
সরকারিভাবে দেশের ১৬টি জেলায় ১৩ হাজার মেট্র্র্রিকটন ত্রান সামগ্রী পাঠানোর কথা থাকলেও এখনো ত্রান পৌছায়নি অধিকাংশ প্লাবিত অঞ্চলে।
এদিকে, পানি কমতে শুরু করায় বন্যা কবলিত এলাকায় বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। এ অবস্থায় ত্রানের পাশাপাশি চিকিৎসা সহায়তা জরুরি বলে বন্যার্তরা জানিয়েছেন।