‘গ্রেনেড হামলায় মামলায় খালেদাকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে’
প্রকাশিত : ১০:৫৯ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৪:৪১ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার
২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা করা হয়। সেই হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন তারেক রহমান এবং মদদ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তাই সেই বিচারের আওতায় খালেদা জিয়াকেও আনতে হবে। এ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত `নৃশংস ২১ আগষ্ট স্মরণে` আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তখনকার সংসদীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গ্রেনেড হামলা করা হয়। দেশ জাতিও আওয়ামী লীগের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সেই হামলার বর্বরতার চিত্র।
হাছান মাহমুদ অারও বলেন, ওই দিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানব ঢাল তৈরি করে বাঁচিয়ে ছিল কিন্তু বিএনপি জামায়াত জোট সরকার চেয়েছিল শেখ হাসিনাকে নিঃশেষ করতে কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। সেই চিত্র আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেই সন্ত্রাসীদেরকে আপনারা নিজেদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং চেষ্টা করেছেন যাতে তাদের বিচার করা না হয়। যতই চেষ্টা করুন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার হবেই।
সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিচারক জয়নাল আবেদিনকে ২১ আগস্ট গ্ৰেনেড হামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল তৎকালীন সরকার কিন্তু তিনি যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলেন তা ছিল খুবই হাস্যকর ও গাঁজাখোরি প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে তিনি বলেছিলেন এই হামলার সঙ্গে ইজরায়লি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত ছিল।
অাওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ বলেন, জয়নাল আবেদীনের মতো কিছু কিছু বিচারক যুগে যুগে সৃষ্টি হয় যারা অপকর্মের সহযোগিতা করে এবং এটি এমন একটি হামলা যা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এমন প্রতিবেদনের জন্য সেই হামলার দায় আপনিও এড়াতে পারেন না।
গ্ৰেনেড হামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোন বাড়িতে চুরি হলেও পুলিশ সেই দায় এড়িয়ে যেতে পারে না অথচ আমাদের ওপর যখন গ্ৰেনেড হামলা করা হয় তখন পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করেছিল কিন্তু এর জন্য কর্তব্যরত পুলিশদের কাওকে কোন কৈফিয়ত বা শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। অর্থাৎ এ থেকে হামলায় সরকারের ভূমিকা সহজেই অনুমেয়।
`খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না` সাম্প্রতিক বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনার কি খালেদার দল করেন? নাকি বিএনপি নেতৃত্বাধীন দল করেন? খালেদা জিয়া তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতির মামলায় জেলে আটক আছে। জেলে থেকে ছাড়া পাবেন কি না এটা আদালত জানে। বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসী দল তা কানাডার আদালতে ও প্রমাণিত হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
অা অা//এসএইচ/