ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বিএনপির নেতাদের ঈদ উদযাপন

প্রকাশিত : ০৫:০৪ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৮ বুধবার

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকায় নেতা-কর্মীরা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

আজ বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য দোয়া করেছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য এই মামলার রায়ে প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মূলত মামলার রায়কে প্রভাবিত করারই শামিল। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার পর বিচারকেরা সঠিক রায় দিতে পারবেন না। এভাবে তথাকথিত বিচারের নামে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আবারও সাজা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপির একমাত্র কর্মসূচি ছিল জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো। এ উপলক্ষে বেলা ১১টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীরা শেরেবাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যানে এসে জড়ো হন। পরে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে তাঁরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।

পরে সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দী থাকায় অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ঈদ পালন করতে হচ্ছে। এর আগে কোরবানির ঈদের দিন খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের জন্য নেতা–কর্মীরা আসতেন। কিন্তু আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। কারণ, আমাদের চেয়ারপারসন আজ এখানে নেই।’ তিনি বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীরা চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছে, যেন তিনি দ্রুত মুক্তি পান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিচারাধীন মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিচারকদের নিরপেক্ষ রায় দেওয়া সম্ভব হবে না। তিনি অভিযোগ করেন, তথাকথিত বিচারের নামে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আবারও সাজা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবকিছুতেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দায়ী করেন। এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

টিআর/