ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বর্জ্য থাকলে কল সেন্টারে ফোন দিন: সাঈদ খোকন

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৮ বুধবার

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। কোথাও কোন বর্জ্য পড়ে থাকলে করপোরেশনের নির্ধারিত কল সেন্টারে ফোন (নম্বর ০৯৬১১০০০৯৯৯) দিতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি ।

বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ধোলাইখালের কাউয়ারটেক পশুর হাটে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

একই সময়ে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের কাছে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা।

তিনি বলেন,২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নগর ভবনে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।

উদ্বোধনের সময় প্যানেল মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম।

 মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি নগরবাসীর কাছে আবেদন জানাতে চাই, আপনারা নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করুন। কোরবানির পর পশুর রক্ত পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আমরা ইতোমধ্যে, ব্লিচিং পাউডার আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। সেই ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পশু জবাই দেওয়ার স্থান ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আমরা করপোরেশন থেকে ব্যাগ সরবরাহ করেছি। কোরবানি পশুর বর্জ্য সেই ব্যাগে ভর্তি করে ময়লার কন্টেইনারে ফেলবেন। আপনাদের সচেতনতা ও সার্বিক সহযোগিতায় ইনশাল্লাহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করে পরিচ্ছন্ন নগরী ঢাকাবাসীকে উপহার দিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও পাড়া-মহল্লায় যদি কোরবানি পশুর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায় তাহলে আপনারা আমাদের কল সেন্টারে ফোন দেবেন।’

মেয়র বলেন, ‘গতবছর আমরা প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছি। এবারও সম পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ করার জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেবো।`

‘আমাদের একটি বিষয় আছে, বিশেষ করে পুরানো ঢাকায় দ্বিতীয় দিনও কোরবানি হয়। এ হিসাবে আমরা ধরে নিই ৯৫ শতাংশ বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করে ফেলবো। বাকি পাঁচ শতাংশ বর্জ্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করবো। তৃতীয় দিনের কোরবানির জন্যও আমরা প্রস্তুত থাকবো। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের শহর পরিচ্ছন্ন না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চলবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ৬০২টির মতো নির্ধারিত স্থান করে দিয়েছি। পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনাও ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত আমরা সেইভাবে নগরবাসীর সাহায্য পাইনি। আমরা তারপরও সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের ব্যবস্থাপনা রয়েছে আপনার নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই দিন।’

এ সময় মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ মো. সালাহউদ্দিন প্রমুখ।

কেআই/ এসএইচ/