ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ঈদের ছুটিতে ভারত যেতে বেনাপোল সীমান্তে উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৮ বুধবার

ঈদুল আযহার লম্বা ছুটির ফাঁদে দেশ। তাই পরিবার-পরিজন  নিয়ে ঈদ উদযাপন  করতে ভারতে যাচ্ছেন অনেকেই। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে।

অনেকে প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে, চিকিৎসা, ব্যবসা, কেনাকাটা ও বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ভারতে যাতায়াত অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঈদ প্যাকেজে অসংখ্য বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। ফলে ঈদের ছুটির সোম, মঙ্গল ও বুধবার-এই তিন দিনে প্রায় ১২ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গেছে।

বুধবার বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের নো-ম্যানসল্যান্ড ও যাত্রী টার্মিনালের সামনে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সারতে শুল্ক কর্মকর্তা ও ইমিগ্রেশন পুলিশের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। লাইন ঠিক রাখতে বিজিবি সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

 প্রচণ্ড রোদে ও খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার নারী, শিশু ও পুরুষ। ধীর গতির কারণে দুই দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।

আলামিন আজাদ নামের এক যাত্রী বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্যস্ততা কম থাকায় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে বেড়াতে যাচ্ছি। ভারতের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরব। যাত্রী বেশি থাকায় ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করতে ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করতে হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। অল্প সময়ে এবং কম খরচে বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে কলকাতা হয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে যাওয়া যায়।

প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার পাসপোর্ট যাত্রী এই পথে ভারত যান। তবে ঈদের ছুটিতে পাসপোর্ট যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। গত তিনদিনে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১২ হাজার যাত্রী বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেছেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে কোনো সমস্যা নেই। পাসপোর্ট যাত্রীদের চাপ বাড়লেও দুর্ভোগের কথা মাথায় নিয়ে ১৬টি ডেস্কে দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে অফিসাররা। এবার ঈদে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভারত ভ্রমণের চাপ অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। যাত্রীদের যাতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য ইমিগ্রেশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যাত্রী সেবা বাড়াতে ইমিগ্রেশন চত্বরে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

কেআই/ এসএইচ/