যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর মধ্যে সুরঙ্গে মাদক চোরাচালান
প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার
মাদক চোরাচালনের জন্য ব্যবসায়ীরা কত ধরণের পন্থাই না অবলম্বন করেন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে আটে নানান পায়তারা। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকোর সীমান্তে সক্রিয় থাকা মাদক চোরাকারবারীরা। দুই দেশের সীমান্তের নিচে দিয়ে খোড়া হয়েছে সুরঙ্গ। তার ভেতর দিয়ে আসা যাওয়া করে মাদক ও ব্যবসায়ীরা।
গত সপ্তাহে সীমান্তবর্তী এলাকা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনাতে এমনই এক সুরঙ্গের সন্ধান পায় যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ। মাদক বিরোধী এক অভিযানে সাবেক কেএফসি রেস্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতো এমন এক ভবনের নিচে এই সুরঙ্গ আবিষ্কার করে দেশটির পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
স্যান লুইসের ঐ ভবনের সুরঙ্গের অন্য পাশের মুখ গিয়ে শেষ হয় সীমান্তের ওপারে মেক্সিকোর রিও কলোরাডোর একটি ভবনের এক শোবার ঘরে। ১৮০ মিটার বা ৬০০ ফিট দৈর্ঘ্যের সুরঙ্গটি মাটি থেকে ২২ ফুটি গভীরে খনন করা হয়। ৫ ফুট উচ্চতা সুরঙ্গের প্রস্থ ৩ ফুট।
পুলিশের ধারণা, দড়িতে বেঁধে এই সুরঙ্গ দিয়ে মাদক আনা নেওয়া করা হতো।
এই ঘটনায় ভবনের মালিক ইভান লোপেজ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ।
এর আগে লোপেজের গাড়ি থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের মাদক পায় অ্যারিজোনা পুলিশ। দুইটি আলাদা বক্স থেকে ১১৮ কেজি মিথামফেটামিন, ৬ গ্রাম কোকেন, ৩ কেজি ফেন্টানিল এবং ২১ কেজি হিরোইন পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে মাদক চোরাচালান বেশ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। দুই বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে ২৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যের আরেকটি সুরঙ্গ পাওয়া গিয়েছিলো। আর গত জুলাই মাসেই শুধু সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের সময় ১৫ কেজি হিরোইন, ১২ কেজি কোকেইন, ৩২৭ কেজি মিথামফেটামিন এবং প্রায় দুই হাজার কেজি গাঁজা উদ্ধার করে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনী।
সূত্রঃ বিবিসি
//এস এইচ এস//