‘মার্কিন নীতি মেনে চলতে আমরা বাধ্য নই’
প্রকাশিত : ১০:৪১ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৫০ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার
পাকিস্তান মার্কিন নীতি মেনে চলতে বাধ্য নয় এবং ইসলামাবাদকে ভৃত্য মনে করা ওয়াশিংটনের উচিত হবে না বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে তার সরকারের নীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ইমরান খান বলেন, এখন সময় এসেছে ওয়াশিংটনের উচিত ইসলামাবাদকে বন্ধু মনে করা ভৃত্য নয়। কারণ আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সেদেশে মোতায়েন মার্কিন সেনাদেরকে বের করে আনার জন্য ইসলামাবাদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে ওয়াশিংটনের।
সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের প্রায় আট হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হলেও আমেরিকা ইসলামাবাদকে মাত্র দুই হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী এমন সময় আমেরিকা সম্পর্কে এসব বক্তব্য দিলেন যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে ইমরানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনা সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে ইসলামাবাদের প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যেও কাজ করছে ওয়াশিংটন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বহু বছর ধরে হোয়াইট হাউজের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন তার দেশ আর মার্কিন নীতি মেনে চলতে বাধ্য নয়। কারণ ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমেরিকা তার অশুভ লক্ষ্য ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য অনবরত পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে।
পাকিস্তানের আগের সরকারগুলো এ অঞ্চলের ঘটনাবলীতে মার্কিন নীতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করলেও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার বিষয়ে ওয়াশিংটন সবসময়ই দ্বিমুখী নীতি গ্রহণের জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে আসছে।
আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ তুলে আমেরিকা ওই দেশটির ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা হার কমিয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থায় ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টি সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয় লাভের পর সাবেক সরকারগুলোর বিপরীত অবস্থানে গিয়ে এই দলের নেতা প্রথম সংবাদ সম্মেলনে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ওয়াশিংটনের ব্যাপারে তাদের নীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: পার্সটুডে
এমএইচ/