চার বছরেও জট খোলেনি সাগর-রুনি হত্যাকান্ড রহস্যের
প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৪০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বৃহস্পতিবার
চার বছরেও জট খোলেনি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ড রহস্যের। শুধু আশ্বাস আর প্রতিশ্রতিই পেয়েছে তাদের পরিবার। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা আলামত যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর দুই খুনীর ডিএনএ প্রোফাইল মিললেও এখনও শনাক্ত করা যায়নি তাদের। আর এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন ৮ জনের ৩ জন এরইধ্যে জামিনে বেরিয়ে গেছেন। আর ৪০ দফা অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হলেও কি অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলছেন না কেউই।
নয় বছরের শিশু মাহীর সারওয়ার মেঘ। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান। ৫ বছর বয়সে বাবা-মা হারালেও, এখনও জানে না সে, কারা-কেন খুন করেছে তার বাবা-মাকে। মেঘ এখন ক্লাস থ্রি’র ছাত্র।
মেঘের মতো তার দাদী সালেহা মনিরও জানেন না, ছেলে সাগর সরওয়ার আর ছেলের বউ মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার হবে, কবে? সন্তান হারানোর পর যেনো নিরুপায়ও হয়ে গেছেন তিনি।
আর সাংবাদিক মেহেরুন-রুনির মা’তো আশাই ছেড়ে দিয়েছেন, বিচারের।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বাদী রুনির ছোটভাই নওশের আলম নোমান তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জানালেন, অসন্তোষ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি; রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর-রুনি। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে শেরে বাংলা থানা পুলিশ। চারদিনের মাথায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর হয়।
ঘটনার প্রায় দু’মাস পর উচ্চ আদালতে ব্যর্থতা স্বীকার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
পরে দুই দফায় হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা আলামত পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠায় র্যাব। আর ওই পরীক্ষায় সম্ভাব্য দুই খুনির ডিএনএ প্রোফাইল মিললেও, এখনও শনাক্ত করা যায়নি তাদের।
মায়ের সন্তান হারানোর আহাজারি, আর সন্তানের মা-বাবা হারানোর আর্তি, কেনো যে তদন্ত সংস্থাকে স্পর্শ করছে না, এমন প্রশ্ন যেনো উত্তরহীন।