ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

শনাক্ত করা কঠিন এমন ৪ ক্যান্সার   

প্রকাশিত : ১০:৩৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:৪৫ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

ক্যান্সার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখন পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয় না।  

বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। কিন্তু এমন কিছু ক্যান্সার রয়েছে যা সনাক্ত করা খুবই কঠিন।

নিম্নে এমন কিছু ক্যান্সার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যা শনাক্ত করা কঠিন।

১) লিভার ক্যান্সার  

শেষের দিকে উপসর্গ বোঝা যায় বলে লিভার ক্যান্সার শনাক্ত করা কঠিন। টিউমারটি যদি ছোট হয় তাহলে ভালোভাবে বোঝা যায় না, কারণ লিভারের বেশিরভাগটাই পাঁজরের নিচে ঢাকা থাকে। পরিবারে কারও এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) আক্রান্ত হবার ইতিহাস থাকলে কিছু টেস্ট দিতে পারেন ডাক্তার। যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা লিভার সিরোসিস রয়েছে, তাদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।

২) কিডনির ক্যান্সার

সাধারণত উপসর্গ দেখা না দেওয়ার আগে এই ক্যান্সারের টেস্ট করানো হয় না। এর উপসর্গগুলো হলো, পিঠের নিচের দিকে ব্যথা, সার্বক্ষণিক ক্লান্তি, অকারণে ওজন হারানো এবং মূত্রের সাথে রক্তপাত। কিডনি শরীরের অনেক ভেতরে বলে এতে টিউমার হলেও সাধারণ শারীরিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। আর কিডনি ক্যান্সারের জন্য নিয়মিত করানো যায় এমন কোনো পরীক্ষা নেই।  

৩) ব্রেইন ক্যান্সার

মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ডের টিউমার শনাক্ত করা যায় তখনই যখন এর উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে এসব উপসর্গ এতই সাধারণ যে তাকে তেমন একটা পাত্তা দেন না রোগী।  যেমন হাত কাঁপা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, ব্যক্তিত্বে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ইত্যাদি। ব্রেইন ক্যান্সারের আরেকটি উপসর্গ হলো মাথাব্যথা, যা কিনা এতই সাধারণ যে তার পেছনে গুরুতর কারণ থাকতে পারে তা কেউ চিন্তাই করেন না।  সাধারণত এমআরআই বা মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান ছাড়া ব্রেইন ক্যান্সার ধরতে পারা যায় না।

৪) জরায়ু ক্যান্সার

যত ক্যান্সারে নারীরা আক্রান্ত হন তার মাঝে মাত্র ৩ শতাংশ হলো জরায়ু বা ওভারিয়ান ক্যান্সার। কিন্তু নারী প্রজননতন্ত্রের অন্য কোনো ক্যান্সারের তুলনায় ওভারিয়ান ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ২০ শতাংশ ওভারিয়ান ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়।  মূলত পেটের ভেতরে থাকার কারণে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো উপসর্গ না থাকায় তা শনাক্ত করা কঠিন।  সাধারণত তৃতীয় বা চতুর্থ স্টেজের পর তা শনাক্ত হয়।   

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট  

এমএইচ/এসি