ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চুম্বক মানব মিরোস্লা ম্যাগোলা 

প্রকাশিত : ১০:৪৪ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:৪৮ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

মিরোস্লা ম্যাগোলা একজন জার্মান নাগরিক। তিনি আর বাকি সব মানুষের মতো তার শরীরও রক্ত-মাংসের গড়া। অথচ তার রয়েছে অসম্ভব রকমের চুম্বকীয় ক্ষমতা। কোনো রকম আঠা কিংবা কৌশল ছাড়াই ক্যান, লোহার পাত্র, কড়াই, চামচ চুম্বকের মতো দেহের সঙ্গে আটকে রাখতে পারেন মিরোস্লা। তার কপাল, হাত কিংবা বুকে চুম্বকের মতো এসব আটকে রাখতে সক্ষম তিনি।  

মিরোস্লা ম্যাগোলা দাবি করেছেন,‘আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে গবেষণা করার পরই তিনি পদার্থের ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেন। এভাবেই বিভিন্ন জিনিস নিজের দেহের সঙ্গে চুম্বকের মতো আটকে রাখার ক্ষমতা অর্জন করেছেন।’ 

মিরোস্লা বলেন,‘যখন আমি নব্বইয়ের দশকে ডিগ্রি অর্জনের জন্য পড়াশোনা করছিলাম তখন আমার মনে হল এ রকম একটা কাজের জন্য আমি নিজেকে তৈরি করতে পারি। এরপর থেকে আমি নিজেকে এই দক্ষতা অর্জনের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত করি। আমি পৃথিবীর অভিকর্ষ শক্তিকে নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারি, সেই শক্তিকে নিজের মাঝে জমাও করতে পারি। আর সেটি ব্যবহার করে বিভিন্ন জিনিস ইচ্ছে মতো হাতের সংস্পর্শ ছাড়াই নাড়াতে পারি।’

মিরোস্লা ভবিষ্যতে তার এই শক্তিকে আরও উন্নত করে তুলতে চান। তিনি বর্তমানে টেলিপ্যাথি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি দেখতে চান মানসিক গতিশক্তি ব্যবহার করে কিভাবে সেটিকে মানুষের উপকারে লাগানো যায়। টেলিপ্যাথি হল, এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে বার্তা প্রেরণের মনোস্তাত্বিক মাধ্যম।

যারা মিরোস্লাকে দেখেছেন তাদের অনেকে এটি বিশ্বাস করেছেন। অনেকে রয়েছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মাঝে। অনেকে তাকে ভুয়া মনে করছেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোনো কোনো মানুষের দেহে চুম্বকত্ব থাকতে পারে। ২০১৫ সালে ডিসকভারি চ্যানেল তাকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রচার করে। 

বিখ্যাত জাদুশিল্পী জেমস র‌্যান্ডি ১৯৬৪ সালে ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের প্যারানর্মাল চ্যালেঞ্জ পুরস্কারের প্রবর্তন করেন। যে বা যারা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা উপযুক্ত তথ্যসহ প্রমাণ করতে পারবেন তিনি সেই পুরস্কার পাবেন। মিরোস্লার লক্ষ্য এই পুরস্কারটি অর্জন করা। আর এজন্য তিনি বছরের পর বছর সাধনা করছেন।

কেআই/এসি