সর্দিজ্বর বা ঠান্ডায় করণীয়
প্রকাশিত : ১১:৫১ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:৪০ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার
ঠান্ডা বা জ্বর থেকে মুক্তি পাবার কৌশল আসলে জানা নেই কারো, যদিও এসব থেকে উপশমের অনেক ব্যবস্থাই জানে অনেকে।
তাই বলে সেসব উপায় যে কাজে আসবেই এমনটাও বলা যায় না। অপরদিকে কোন ব্যবস্থা কোন ধরণের সমস্যায় ব্যবহার করা হবে তার ওপরও অনেক কিছুই নির্ভর করে।
ঠান্ডা এবং ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকা জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জা যা ফ্লু নামেই বেশি পরিচিত। এসবের লক্ষণগুলি একইরকম হয়ে থাকলেও এগুলো আসলে ভিন্ন অসুখ।
ঠান্ডা লাগলে আপনি হয়তো খুব অসুস্থ বোধ করবেন। কিন্তু ফ্লু আরো বেশি পরিমাণে আপনাকে অসুস্থ করে দেবে এমনকি শয্যাশায়ীও করে দিতে পারে।
কার্ডিফে কমন কোল্ড সেন্টার-এর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, জ্বর হলে বেশিরভাগেরই খাবার আগ্রহ কমে যায়।
তাই তাদের পরামর্শ যে, এরকম সময় নিজের শক্তি বাঁচিয়ে রাখতে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই ভালো। তবে ক্ষুধা বেশি না পেলে একেবারেই জোর করা উচিৎ নয়।
বলা হচ্ছে, নিজের শরীরের মতি গতি অনুযায়ী চলতে। জোর খাটিয়ে কাজ না করে বরং কিছু বিশ্রাম নেওয়া ভালো।
যতটা ক্লান্তি বোধ হয়, ততখানি বিশ্রাম নেওয়াই ভালো।
অবশ্য সামান্য ঠান্ডা আপনাকে হয়তো বাইরে যাওয়া কিংবা কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবে না!
যদিও এটি পুরোপুরি প্রমাণিত নয়, তবু বলাই যায় যে হুইস্কির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর গরম পানিতে লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ।
ডাক্তাররা প্রচুর পানীয় পান করার সুপারিশ করেন, বিশেষ করে পানি এবং সাথে কিছু পরিমাণ চা বা কফি।
যখন আপনার ঠান্ডা লাগে বা ফ্লু হয় তখন অনেক বেশি হাঁচি, কাশি এবং ঘাম হতে থাকে স্বাভাবিক সময়ের চাইতে।
আর এতে করে শরীর কিছুটা পানি শুন্য হয়ে পরে। আর তাই ঘাটতি পূরণের কথা বলা হচ্ছে।
তবে, কখনোই মাত্রাতিরিক্ত নয়। বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত পানি পান বিপজ্জনক হতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
প্যারাসিটামল ও আইবুপ্রোফেন দুটোই কার্যকর। এমনকি প্রয়োজনে প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রোফেন দু`টোই একসাথে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে অবশ্যই মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। আর আইবুপ্রোফেন খাওয়া উচিৎ ভরা পেটে।
ইউক্যালিপটাস তেল ও মেনথল যে কাজ করে তেমন কোনো শক্ত প্রমান নেই। তবে এসব ব্যবহারে কিছু সাময়িক উপশম পাওয়া যায়।
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ১৯৩০ এর দশকে ভিটামিন সি ছিল সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা। এটি সত্তরের দশকে এসে আরো বেশি জনপ্রিয় হয় যখন নোবেল বিজয়ী লিনাস পোলিং গবেষণা করে প্রমাণ করেন যে ভিটামিন সি ঠান্ডাজনিত রোগ উপশমে অনেকবেশি কার্যকর।
তবে সম্প্রতি ককরেন গ্রুপের গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঠান্ডা থেকে মুক্তিতে ভিটামিন সি`র ভূমিকা খুব বেশি নয়। এটি শরীরের জন্যে ক্ষতিকর নয় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন সি শরীর থেকে মুত্রের সাথে বেড়িয়ে যায়।
তবে জিঙ্ক ক্ষতিকর হয়ে দাড়াতে পারে যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সুতরাং সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাই ভালো।
ঠান্ডা এবং ফ্লু ভাইরাস জনিত রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক একেবারেই ব্যবহার করা উচিৎ নয় বলে গবেষকরা মন্তব্য করেছেন।
সূত্র: বিবিসি
এমএইচ/এসি