ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মায়ের গায়ে হাত তোলায় স্ত্রীকে ডিভোর্স: মোসাদ্দেক

প্রকাশিত : ১০:৩৪ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীকে মারধরের কথা স্বীকার করে সৈকত বলেছেন, মায়ের গায়ে হাত তোলায় তিনি স্ত্রীকে মেরেছেন। গতকাল রোববার রাতে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।  

জানা গেছে, মোসাদ্দেকের সঙ্গে ৬ বছর আগে বিয়ে হয় খালাতো বোন সামিয়া শারমিনের। বিয়ের পর থেকেই সৈকতকে তার পরিবার ছেড়ে আলাদা সংসার করতে চাপ দিতে থাকে শারমিন। একদিকে মায়ের প্রতি দায়িত্ববোধ ও টান অন্যদিকে স্ত্রীর আলাদা হওয়ার চাপ। এ নিয়ে দু’জনের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার।

এদিকে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে সৈকতের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী শারমিন। এ বিষয়ে সৈকত বলেন, আমি যখন খেলার কারণে ট্যুরে থাকতাম তখন শারমিন আমার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করত। মাকে একাধিকবার মেরেছেও। এসব কারণে আমি গত ১৬ আগস্ট তাকে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দিই।

মোসাদ্দেক আরও বলেন, বিয়ের পর থেকেই ও আমাকে আলাদা সংসার গড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু আমার বাবা নেই, যে মায়ের কারণে আমি আজ ক্রিকেটার। সেই মাকে ছেড়ে কিভাবে আলাদা থাকি? এটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি ওকে এটা নিয়ে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু সে কিছুতেই বুঝতে চায় নি।

স্ত্রীর যৌতুকের অভিযোগ নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ওকে আমি গত ১৬ আগস্ট তালাক দিয়েছি। তার আগে ও কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। তালাক দেওয়ার পর ও নাটক শুরু করেছে। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংসের চক্রান্ত করছে।

জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার বলেন, আমি মনে করি যে এত খারাপ সময় আমার আসেনি যে যৌতুক নিয়ে আমার চলতে হবে। আমি শুনেছি যে ডিভোর্স দিলে নাকি এমন নারী নির্যাতন বা যৌতুকের একটা মামলা করা হয়। তারাও হয়তো তাই করেছে।

স্ত্রীর কর্মকাণ্ডে হতাশ জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার যুগান্তরের কাছে আক্ষেপ করে বলেন, ছেলে হয়ে জন্মে ভুল করেছি। আজ মেয়েরা যা বলে তাই সত্যি হয়। আমাদের কথা কেউ সত্যি মনে করে না।

প্রসঙ্গত, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন। ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইন ৩ ও ৪ ধারায় অভিযোগ করেন তিনি।

/ এআর /