চামড়ার মুনাফায় পকেট ভরছে পাইকাররা
প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার
এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কম নির্ধারিত হওয়ায় পকেট ভারী হয়েছে পাইকারদের। ট্যানারি মালিকরা নির্ধারিত দরে চামড়া কিনবেন বলে জানিয়েছেন। এ সুযোগে পাইকার ও আড়তদাররা মাঠপর্যায়ে এতিম, গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছ থেকে চামড়া কিনেছেন একেবারে কম দামে। তাতে পাইকাররা অতিরিক্ত লাভের সুযোগ পেলেও ঠকেছেন সুবিধাবঞ্চিতরা।
জানা গেছে, এবার মাঠ পর্যায়ে ১০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে বেশিরভাগ গরুর চামড়া কেনাবেচা হয়েছে। এসব চামড়া ২০০ থেকে ১ হাজার টাকায় কিনেছেন আড়তদার ও পাইকাররা। পাড়া-মহল্লা থেকে ছাগলের প্রতিটি চামড়া ১০ থেকে ২০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। এ চামড়া আড়তদাররা কিনেছেন ১০ থেকে ৩৫ টাকায়।
আড়তদাররা প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনেছেন ১৩ টাকা থেকে ২৫ টাকায়। তারা ট্যানারি মালিকদের কাছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। ১৫ বর্গফুটের একটি গরুর চামড়া ২০০ টাকায় কিনে সংরক্ষণ করতে লবণ, শ্রমিক, গুদাম ও পরিবহন ভাড়াসহ আরও ১০০ টাকা ব্যয় হয়। নির্ধারিত দর সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা বর্গফুট হিসাবে ৬৭৫ টাকায় কিনবে ট্যানারিগুলো। কেনাকাটা ও সংরক্ষণে ৩০০ টাকা ব্যয় করেই ৩৭৫ টাকা লাভ করবেন আড়তদাররা।
সংরক্ষণ করা চামড়া নির্ধারিত দরে বিক্রির আশায় আছেন আড়তদাররা। তারা নির্ধারিত দামে বিক্রির জন্য আগামী তিন মাস রাখতে পারবেন। নির্ধারিত দরে বিক্রি না হলে ট্যানারিতে ভাড়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে রফতানির সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রেও ভালো দাম মিলবে।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্যানারি মালিকরা যে দাম নির্ধারণ করেছে, ওই দরেই চামড়া কিনবেন। চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এ কারণে দাম অনেক কমেছে। কম দামে চামড়া কেনাবেচার সুবিধা পাবেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। এক মাসের জন্য বিনিয়োগ করেই মূলধনের সমান মুনাফা করবেন তারা। পাইকার ও আড়তদারদের অতিরিক্ত মুনাফা প্রত্যাশার কারণে চামড়ার বাজারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারা দুই থেকে তিন মাস লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে বাড়তি লাভে বিক্রি করবেন। হয়তো শেষ পর্যন্ত ট্যানারি মালিকরা যে দাম নির্ধারণ করেছেন, তার চেয়ে বেশি দামেও কিনতে হবে। পাইকাররা স্বল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগ করে বিনিয়োগ অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল নিয়েছে।
আরকে//