বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুছে ফেলা হয় বিভিন্নস্থানে সংরক্ষিত ছবি, চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্য দলিল
প্রকাশিত : ১২:৪৩ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৩ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৬ শনিবার
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫’এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর, মুছে ফেলা হয় বিভিন্নস্থানে সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধুর ছবি, চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্য দলিল। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের চরম প্রতিশোধ। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে, এর খুব সামান্যই উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতেই স্বাধীনতা বিরোধীরা এমন ঘৃণ্য কাজ করেছিলো বলে জানালেন রাজনীতিকরা।
শুধু সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই থেমে থাকেনি ঘাতকের দল। ইতিহাসের পাতা থেকে জাতির জনকের নাম মুছে ফেলার ঘৃণ্য চক্রান্তেও লিপ্ত হয় তারা। ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে মহান এই নেতা সম্পর্কে বেশি কিছু জানতে না পারে, সেজন্য তৎপর হয়ে উঠে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। ধ্বংস করে ফেলা হয় জাতির জনকের বিভিন্ন বিরল ছবি, চলচ্চিত্র আর প্রামাণ্য দলিল। তবে, জীবন বাজি রেখে কিছু কিছু সংগ্রহে রাখেন কেউ কেউ।
যে মহানায়কের হাত ধরে আসে স্বাধীনতা, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারই ছবি অনাদরে, অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছিল সিড়ি ঘর আর জীর্ণ পরিবেশে।
নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির জনকের কীর্তি তুলে ধরতে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বঙ্গবন্ধুর দুর্ভল ছবি আর প্রামাণ্য দলিল সংগ্রহের দাবি জানান তারা।
ঘাতকের দল চাইলেও, বাঙালির হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর নাম। তিনি হয়েছেন বাংলাদেশের সমার্থক; বাঙালির প্রেরণার এক অফুরন্ত উৎস।