ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘বিজিবি-বিএসএফ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফলে সীমান্ত হত্যা কমেছে’ 

রাজশাহী অফিস

প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

বিএসএফ এর সাথে বিজিবির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফলে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে হত্যাকান্ডের সংখ্যা কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।

গত এক বছরে সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে মাত্র একজন হত্যাকান্ডের শিকার হলেও সেটি কমিয়ে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।    

সোমবার দুপুরে বিজিবি প্রধান রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকা এবং সাহেব নগর ও ডিয়ের মানিক চক বিওপি পরিদর্শন করেন। এই সময় তিনি সাহেব নগর বিওপিতে একটি আম গাছের চারারোপন করেন। পরে নিজে মোটর সাইকেল চালিয়ে সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন বিজিবি প্রধান।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন,‘সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলে সার্ভেইল্যান্স প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে।এর মাধ্যমে সীমান্তে মনিটরিং করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রেসপন্ট টিম পৌঁছাতে পারবে।, 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, চোরাচালান, মাদক, অস্ত্র ও নারী শিশু পাচাররোধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে সীমান্তে আমাদের অপারেশনাল সফলতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের পুরো সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারির ফলে চলতি বছর এই যাবৎ বিজিবির অভিযানে ৬০০ কোটি টাকার অধিক চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া চোরাচালান ও অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।, 

রাজশাহী সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘বিজিবির কঠোর নজদারির ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধভাবে গরু প্রবেশরোধে আমরা অনেকাংশে সফল হয়েছি।

একইভাবে আমাদের দেশ হতে যাতে গবাদি পশুর একটি চামড়াও অন্যদেশে পাচার না হয় সেজন্য সর্বাত্মক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টহল পরিচালনার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীর এই দুর্গম সীমান্তে টহল পরিচালনা করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্গম সীমান্তে সীমিত জনবল দিয়ে টহলের মাধ্যমে সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার।   

এ জন্য টহলের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সীমান্ত সুরক্ষার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় ‘বর্ডার সার্ভেইল্যান্স এন্ড রেসপন্স সিস্টেম’ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।  

রাজশাহীর সীমান্ত এলাকায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায় কিনা এবং এখানে টহল পরিচালনার জন্য উপযুক্ত কী ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করা যায়,অচিরেই এগুলোর প্রয়োগ করা সম্ভব হবে এবং এই সীমান্ত আরও সুরক্ষিত হবে।’  

এ সময় বিজিবির রংপুর রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার কর্ণেল আনোয়ার সাদত আবু ফুয়াদ, বিজিবি-১ এর অধিনায়ক লে:কর্ণেল শামীম মাসুদ আল ইফতেখারসহ বিজিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেআই/এসি