ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইউরোপের বিখ্যাত ৭ ঘড়ি

প্রকাশিত : ১১:১৬ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার

ইউরোপের বিভিন্ন শহরের প্রাচীন ভবনের দেয়ালে শোভা পায় দৃষ্টিনন্দন কিছু ঘড়ি৷ এসব ঘড়ি শুধু সময়ই জানায় না, ইউরোপের রাজা-বাদশাহদের শিল্প চর্চার প্রতীক হিসেবেও কাজ করে৷

লন্ডনের ‘বিগ বেন’

লন্ডনের বিগ বেন ঘড়িটিকে বলা হয় ইউরোপের দেয়ালে ঝুলানো সবচেয়ে বিখ্যাত ঘড়ি৷ তবে যে ভবনের দেয়ালে ঘড়িটি ঝোলানো আছে, তার ডাক নাম বিগ বেন৷ ভবনটির প্রকৃত নাম হলো এলিজাবেথ টাওয়ার৷ ‘ভয়েস অব ব্রিটেন’ নামে খ্যাত এ ঘড়িটি প্রতি ঘণ্টায় একবার করে ঘণ্টা বাজিয়ে তার উপস্থিতি জানান দেয়৷ তবে ভবনটির সংস্কার কাজ চলছে বলে আগামী কয়েক বছর ঘড়িটির পরিচিত এ ঘণ্টা শুনবে না কেউ৷

বার্লিনের ‘ওয়ার্ল্ড টাইম ক্লক’

আধুনিক নকশায় খচিত বার্লিনের আলেকজান্দ্রিয়া প্লাৎসে স্থাপিত ওয়ার্ল্ড টাইম ক্লক’টি দর্শণার্থীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়৷ বিখ্যাত শিল্পী এরিখ জন-এর নকশা করা এ ঘড়িটি ১৯৬৯ সালে দর্শণার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়৷ দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে খচিত এ ঘড়ির উপরের অংশটি আমাদের সৌরজগতেকে চিত্রায়িত করেছে৷ আর নিচের দিকে নকশা করা সিলিন্ডারটিতে বিশ্বের ২৪টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানের সময় নির্দেশ করে৷

‘টাউনহল ক্লক‘

চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ শহরের টাউন হলের দেয়ালে খচিত জোতির্বিদ্যা বিষয়ক ‘টাউনহল ক্লক’টি গোথিক প্রযুক্তির একটি বিশেষ নিদর্শন৷ কথিত আছে যে, ১৪১০ সালে স্থাপিত এ ঘড়ির নির্মাণের পর নকশাকারীর চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল, যেন একই নকশার আর কোনেও ঘড়ি কেউ নির্মাণ করতে না পারে৷

স্ট্রাসবুর্গের ‘জ্যোতির্বাদ্যা ঘড়ি’

জার্মানির স্ট্রাসবুর্গ শহরের ক্যাথেড্রেলে স্থাপিত একজন সুইস স্থপতির নকশা করা এ ঘড়িটি মূলত ইউরোপের রেনেসাঁর চিহ্নবিশেষ৷ প্রতিদিন দূপুর সাড়ে বারোটায় চালু হয় এটি৷ ঘড়িটির চারপ্রান্তে শিশু, তরুণ, প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রবীণদের মূর্তি রয়েছে৷

ভিয়েনার ‘অ্যাঙ্কর ক্লক’

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা শহরের অ্যাঙ্কর ক্লকটি শহরটির হহে মার্কট স্কয়ারে অবস্থিত অ্যাঙ্কর-হফ ভবনের দুটি আংশকে একটি সেতুর মতো করে একত্রিত করেছে৷ প্রতি ১২ ঘণ্টায় কপারের তৈরি ১২টি ঐতিহাসিক মূর্তি সেতুটি অতিক্রম করে৷

ভেনিসের ‘টরে ডেল’অরলোগিয়ো’

ইটালির ভেনিস শহরে সেন্ট মার্ক স্কয়ারে স্থাপিত টরে ডেল’অরলোগিয়ো ঘড়িটি শুধু সময়ই নির্দেশ করছে না, বরং চন্দ্র ও সৌর বর্ষের নির্দেশনাও দিচ্ছে৷ ২০০৬ সাল থেকে ঘড়িটিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে৷

ফ্রান্সে রয়েছে ‘জাদুর ঘর’

ফ্রান্সের ব্লইস শহরে স্থাপিত এটিকে ঠিক ঘড়ি বলা না গেলেও স্থাপনাটির ড্রাগন আকৃতির দুটি মাথা সময়ের নির্দেশনা দেয়৷ প্রতি আধা ঘণ্টায় একবার ড্রাগন আকৃতির মাথা দুটি বেরিয়ে এসে ভয়ানকভাবে সামনের দিকে দৌড়াতে থাকে৷ স্থাপনাটির পিছনে রয়েছে যাদুবিদ্যা প্রদর্শনকারী একটি যাদুঘর৷ উল্লেখ্য, আধুনিক যাদুবিদ্যার জনক রবার্ট-হোডিন৷ ব্লইস শহরে জন্মগ্রহন করেছিলেন তিনি৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

একে//